রাজ্যের ১০ হাজার ২৭১ জন অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীর হাতে স্মার্ট ফোন পৌঁছে দিলো রাজ্য সরকার।বুধবার (৮ জুলাই) নজরুল কলাক্ষেত্রে অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের মধ্যে মোবাইল ফোন বিতরণ, 'মুখ্যমন্ত্রী মাক্রুপুষ্টি উপহার' এবং ত্রিপুরার 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' স্কিমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
এছাড়া ছিলেন সমাজ কল্যান ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা সহ অন্যান্যরা। এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির ভাষণে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,সঠিক তথ্য সঠিক সময়ে পৌঁছানো একটা বড় কাজ।স্মার্ট ফোনের অভাবে রাজ্যের ১০ হাজার ২৭১ জন অঙ্গনওয়াড়ী বোনেরা এই কাজটি সঠিকভাবে করতে পারছিলেন না।তথ্যের আদান প্রদান সঠিকভাবে না হওয়ায় বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের।অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী গর্ভবতী মহিলাদের হাতে পুষ্টিকর খাদ্য দ্রব্যও তুলে দেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,ধীরে ধীরে রাজ্যের সবকটি দপ্তরকে ডিজিটাইলেজশনে রুপান্তরিত করা হবে।খাদ্য দপ্তরকে ডিজিটাইলেজশনে রূপান্তরের সাফল্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন,এর ফলে ৬৭ হাজার ভুয়ো রেশনকার্ড চিহ্নিত করে বাতিল করা সম্ভব হয়েছে।এতে ২ লাখ ৮০ হাজার মানুষের খাদ্য কালোবাজারি হতো।এতে বছরে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে ৬২ কোটি টাকা গায়েব হয়ে যেতো।তিনি আরও জানান,গত ১বছর ধরে রেশনের ভোক্তারা মেশিনে আঙুলের ছাপ দিয়ে খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করছেন।এতে ১ মাসে সরকারের ৫ কোটি টাকা লাভ হয়েছে।
এই বিষয়ে বিগত সরকারের প্রতি তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,এই পন্থা রাজ্যে আগেও করা যেতে পারতো। এদিন বিশেষ অতিথির ভাষণে মন্ত্রী সান্তনা চাকমা বলেন,মোবাইলে যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম এবং এর মাধ্যমে তৃণমূল স্তর থেকে কেন্দ্রীয় স্তর পর্যন্ত একটা সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে।এতে দপ্তরের বিশেষ লাভ হবে বলে ধারণা ব্যক্ত করেন মন্ত্রী সান্তনা চাকমা।
ছবিঃসুমিত কুমার সিংহ
আরশিকথা
৮ই জুলাই ২০২০