করোনা কারণে বাতিল হচ্ছে একের পর এক অনুষ্ঠান। এমনকী, বিয়ের নিমন্ত্রিতদের তালিকাও কাটছাঁট করতে হচ্ছে। কে থাকবেন আর কে বাদ পড়বেন, তা বাছাই করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত দু’বছরে এটাই চেনা ছবি হয়ে গিয়েছে। এবার মহামারীর কোপে পিছিয়ে গেল খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিয়ে। বলা ভাল, নিজেই পিছিয়ে দিলেন বিয়ের অনুষ্ঠান। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন। তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গী ক্লার্ক গেফর্ড। তাঁরা নিজেদের বিয়ের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেননি। তবে তাঁদের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে আচমকাই মাথাচারা দিয়েছে ওমিক্রন আতঙ্ক। এমন পরিস্থিতিতে বিয়ে পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। ওমিক্রনের সংক্রমণ রুখতে সে দেশে নয়া কোভিডবিধি জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ১০০ জন জমায়েত করতে পারবেন। সকলের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হতে হবে। এই নিয়ম কার্যকর করার পরই নিজের বিয়ে পিছিয়ে দেন জেসিন্ডা আর্ডের্ন। বলেন, “আমার বিয়ে এখনই হচ্ছে না। বহু দেশবাসীর একই ধরনের অভিজ্ঞতা হচ্ছে। আমিও তাদের সঙ্গী হলাম। এবং এই পরিস্থিতির জন্য যাঁদের নিজেদের বিয়ে পিছিয়ে দিতে হচ্ছে, তাঁদের জন্য আমি দুঃখিত।”
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডে হঠাৎই ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁরা এক শহর থেকে অন্য শহরে পাড়ি দিয়েছিলেন। তার পরই ওই পরিবারের ৯ সদস্য ওমিক্রন আক্রান্ত হন। এমনকী, যে বিমানে তাঁরা যাতায়াত করেছেন, তার এখ কর্মীও ওমিক্রন পজিটিভ। এর পরই রাতারাতি বিয়ের অনুষ্ঠানে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হল। আর সেই গেঁরোয় পিছিয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর বিয়ের অনুষ্ঠান।
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
২৩শে জানুয়ারি ২০২২