মহালয়ার ভোরবেলায় যখন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ ভেসে আসে, তখনই মনে হয়—“পূজো আসছে, পূজো আসছে।” চারপাশে এক অদ্ভুত উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। নতুন জামাকাপড় কেনা, আলোর সাজ, প্যান্ডেল হপিং-এর পরিকল্পনা—সব মিলিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, যতদিন আমরা মহালয়ার অপেক্ষায় থাকি, ঠিক ততটাই দ্রুত পেরিয়ে যায় শারদীয়া উৎসবের মূল দিনগুলি। সপ্তমী থেকে দশমী—চারটে দিন যেন চোখের পলকে উড়ে যায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঠাকুর দেখা, খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা আর আনন্দে সময় কেটে যায় টেরই পাওয়া যায় না।
দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনের মুহূর্তে বুকের ভেতর এক টুকরো শূন্যতা জন্ম নেয়। ঢাকের শব্দ, ধুনুচি নাচ, সিঁদুর খেলার আনন্দের মাঝেও মনে হয়—এবার মা চলে যাচ্ছেন। তবে এই দুঃখ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। কারণ আমরা জানি, বছর ঘুরলেই আবার আসবে মহালয়া, আবার আসবে সেই “পুজো আসছে”র উত্তেজনা।
দুর্গা পূজা তাই শুধু একটি উৎসব নয়, এটি বাঙালির আবেগ, যেখানে আনন্দের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে সাময়িক বিরহও। আর এই আসা-যাওয়ার চক্রেই নিহিত আছে দুর্গা পূজার আসল মাহাত্ম্য।
অনুরাগ বর্দ্ধন
নবম শ্রেণি
ভবনস্ ত্রিপুরা বিদ্যামন্দির
আরশিকথা হাইলাইটস
ছবিঃসৌজন্যে ইন্টারনেট
৩রা অক্টোবর ২০২৫

