আগামী ২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে। আর অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণকে ঘিরে গোটা দেশবাসীর মধ্যে আবেগ ও অপেক্ষা তুঙ্গে। ইতিমধ্যে সুদৃশ্য ও বিশাল মন্দির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২২ শে জানুয়ারি রাম মন্দিরের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাধু সন্তরা সহ লক্ষ লক্ষ মানুষ। রাম মন্দিরকে ঘিরে যে রাষ্ট্রীয় চেতনার উজ্জ্বল ছবি ইতিমধ্যেই ফুটে উঠেছে, তা সত্যিকার অর্থেই সেই বিষয় ভারতের বিশাল এবং বিপুল ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ আর ঐক্যের মজবুত প্রতীক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বহু বছর ধরে নানা আইনি সওয়াল জবাব এবং সবার মতামত শুনেই রাম মন্দির নিয়ে রায় দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। মামলার রায়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সবাই খুশি হয়েছে সেটা বলা না গেলেও দেশের শীর্ষ আদালতের প্রশ্নাতীত নিরপেক্ষতা, আর আইনি বিশালতা নিয়ে যে বিশেষ কিছু বলার নেই সেটা মন্দির নির্মাণ পর্বেই প্রমাণিত হয়েছে। সুষ্ঠু এবং সারা দেশের জন মানসের আবেগ আর যোগদান দিয়েই তৈরী হয়েছে রাম মন্দির। রাম মন্দির তৈরী হলে দেশের ধর্ম নিরপেক্ষ আদর্শ নষ্ট হয়ে যাবে বলে রব তুলেছিলেন দেশের একাংশ মানুষ। তাদের সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বের যেকোন মুসলিম অধ্যুষিত দেশের মতই ভারতেও সুরক্ষিত এবং নিরাপদ এই মহান দেশের সংখ্যালঘুরা। তবে তা অবশ্যই দেশের মূল উন্নয়ন ধারার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। রাম মন্দির তৈরী হলে উপসাগরীয় মুসলিম দেশ গুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন দেশের একাংশ বুদ্ধিজীবী। তাদের সেই ধারণা ও বেলুমাল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে উপসাগরীয় মুসলিম দেশগুলোর সংগে ভারতের কূটনৈতিক এবং বানিজিক সম্পর্ক সৃষ্টি করেছে নতুন মাইল ফলক।
আরশিকথা হাইলাইটস
ছবিঃ সংগৃহীত
৬ই জানুয়ারি ২০২৪