ঐতিহ্যের
আদিঅনন্ত ধারাকে অব্যাহত রেখে মাণিক্য প্রেস আজ এই রাজ্যের একটি সুপরিচিত নাম।
পরিষেবার লক্ষ্যে গুনমান এবং ক্রেতাসন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিয়ে এই সংস্থা সবার
পছন্দের তালিকায় নিজেদের যোগ্যতার মাপকাঠিতে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । ১৯৩৯ সালে
তৎকালীন ত্রিপুরা রাজ্যের মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্যবাহাদুর কর আদায় করার
রশিদ ছাপানোর জন্য বর্তমান বাংলাদেশের কুমিল্লাতে একটি ছাপাখানা তৈরি করেছিলেন।
যার নাম ছিল মাণিক্য প্রেস। তার পর
১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হবার পর সুনাগরিক দুলাল রায় চৌধুরীর হাতে মাণিক্য প্রেসের
মালিকানা চলে আসে। এরপর বর্তমান স্থান অর্থাৎ লক্ষীনারায়ন বাড়ি রোডে মাণিক্য
প্রেস তার নতুন ঠিকানায় যাত্রা শুরু করে।
১৯৭১ সালে
মাণিক্য প্রেস তার সুনাম অক্ষুন্ন রেখে "নিউ মাণিক্য প্রেস" নামে
সর্বজনে পরিচিতি লাভ করে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রবাহমান ধারায়
এগিয়ে যাওয়ার পথে নিউ মাণিক্য প্রেস হয়ে ওঠে রাজ্যের এক সর্ব বৃহৎ ছাপাখানা অর্থাৎ
প্রিন্টিং প্রেস।
আজ নিউ
মাণিক্য প্রেস প্রিন্টিং এর জগতে এক অনবদ্য নাম, যেখানে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে
প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সব ধরনের ছাপার কাজ করা হয়। বর্তমানে নিউ মানিক্য
প্রেসে একই ছাদের নীচে রয়েছে ডিজাইনিং , প্রিন্টিং , কাটিং , বাইন্ডিং সহ সবধরনের আধুনিক মেশিন যার
সহায়তায় একটি বই অসাধারণ সৌন্দর্যে অটুট থেকে মুহুতের মধ্যে তৈরি হয়ে গ্রাহকের
হাতে চলে আসবে। তাছারা দেশবিদেশে গুনমানে সেরা এবং সমাদৃত এপ্সনের কালার সিরিজের
প্রিন্টিং মেশিনটি উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে নিউ মাণিক্য প্রেসেই প্রথম আনা হয় এবং
আগামী দিনেও এই ধারা অব্যাহত রেখে ঘন্টায় ১৫০০ স্কোয়ার ফুট প্রিন্ট দেওয়ার
মত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফ্লেক্স মেশিনটিও যুক্ত হতে চলেছে নিউ
মাণিক্য প্রেসের ঐতিহ্যের পালকে।
গ্রাহকদের অফুরান ভালবাসায় আগামীদিনেও নিউ মাণিক্য প্রেস আরও এগিয়ে যাবে - এই শুভকামনা থাকলো আরশি কথা'র তরফেও।
গ্রাহকদের অফুরান ভালবাসায় আগামীদিনেও নিউ মাণিক্য প্রেস আরও এগিয়ে যাবে - এই শুভকামনা থাকলো আরশি কথা'র তরফেও।
একটি প্রচারমূলক প্রতিবেদন / আরশি কথা