তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
পলিটব্যুরোর ১৫ জন সদস্যের মধ্যে পাঁচজনকেই উপস্থিত রেখে শুরু হয়েছে সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্য সম্মেলন। এবারের ২২তম সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পলিটব্যুরোর সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি,প্রকাশ কারাত, বৃন্দা কারাত, বিমান বসু এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।
এবারের রাজ্য সম্মেলন নিঃসন্দেহে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে হচ্ছে। শুধু ত্রিপুরাতেই নয় সারা দেশেই এখন প্রতিকুল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে রাজনীতি করতে হচ্ছে কমিউনিস্টদের। মূলত তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে এবারের রাজ্য সম্মেলনে আলোচনা হচ্ছে। প্রথমত, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা। দ্বিতীয়ত, লোকসভায় সিপিএমের সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি। তাছাড়া কেন্দ্রে বিকল্প ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠনের উপরেও গুরুত্ব দিয়েছে দল।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার দুইটি আসন থেকে সিপিএমের সম্ভাবনা না থাকলেও দলীয় নেতৃত্ব চাইছে ভেঙ্গে পড়া সংগঠনকে ফের জাগিয়ে তুলে বিজেপিকে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে। যেহেতু কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি অন্ততপক্ষে ত্রিমুখী নির্বাচন হবেই। এদিকে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধেও মানুষের মধ্যে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হচ্ছে। বেকার,কৃষক,শ্রমিক সব অংশের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। সিপিএম চাইছে মোদি বিরোধী প্রচার চালিয়ে মানুষের এই ক্ষোভকে ভোটবাক্সে প্রতিফলিত করাতে। আগরতলা টাউন হলে আয়োজিত এই সম্মেলনে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। রাজ্যে বিরোধী দলের সংগঠন করতে এখন সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে দলীয় কার্যালয়গুলি প্রশাসনের তরফে ভেঙ্গে দেওয়ায়। যদিও খাস জমিতে গড়ে ওঠা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির কার্যালয়ই ভেঙ্গে দেয় রাজ্য সরকার। এই অবস্থায় কর্মীদের বাড়িতে ছোটখাটো সভা করে সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে বিরোধী দলকে। টাউন হলে দুইদিন ব্যাপী চলবে সম্মেলন।
শহীদবেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ এবং পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সভার কাজ শুরু হয়। সম্মেলনে দলের রাজ্য কমিটির নেতৃত্বদের মধ্যে ছিলেন রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর, প্রবক্তা গৌতম দাস, বাদল চৌধুরী, মানিক দে,রতন ভৌমিক, পবিত্র কর,রমা দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৫শে নভেম্বর ২০১৮ইং
পলিটব্যুরোর ১৫ জন সদস্যের মধ্যে পাঁচজনকেই উপস্থিত রেখে শুরু হয়েছে সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্য সম্মেলন। এবারের ২২তম সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পলিটব্যুরোর সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি,প্রকাশ কারাত, বৃন্দা কারাত, বিমান বসু এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।
এবারের রাজ্য সম্মেলন নিঃসন্দেহে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে হচ্ছে। শুধু ত্রিপুরাতেই নয় সারা দেশেই এখন প্রতিকুল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে রাজনীতি করতে হচ্ছে কমিউনিস্টদের। মূলত তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে এবারের রাজ্য সম্মেলনে আলোচনা হচ্ছে। প্রথমত, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা। দ্বিতীয়ত, লোকসভায় সিপিএমের সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি। তাছাড়া কেন্দ্রে বিকল্প ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠনের উপরেও গুরুত্ব দিয়েছে দল।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার দুইটি আসন থেকে সিপিএমের সম্ভাবনা না থাকলেও দলীয় নেতৃত্ব চাইছে ভেঙ্গে পড়া সংগঠনকে ফের জাগিয়ে তুলে বিজেপিকে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে। যেহেতু কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি অন্ততপক্ষে ত্রিমুখী নির্বাচন হবেই। এদিকে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধেও মানুষের মধ্যে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হচ্ছে। বেকার,কৃষক,শ্রমিক সব অংশের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। সিপিএম চাইছে মোদি বিরোধী প্রচার চালিয়ে মানুষের এই ক্ষোভকে ভোটবাক্সে প্রতিফলিত করাতে। আগরতলা টাউন হলে আয়োজিত এই সম্মেলনে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। রাজ্যে বিরোধী দলের সংগঠন করতে এখন সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে দলীয় কার্যালয়গুলি প্রশাসনের তরফে ভেঙ্গে দেওয়ায়। যদিও খাস জমিতে গড়ে ওঠা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির কার্যালয়ই ভেঙ্গে দেয় রাজ্য সরকার। এই অবস্থায় কর্মীদের বাড়িতে ছোটখাটো সভা করে সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে বিরোধী দলকে। টাউন হলে দুইদিন ব্যাপী চলবে সম্মেলন।
শহীদবেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ এবং পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সভার কাজ শুরু হয়। সম্মেলনে দলের রাজ্য কমিটির নেতৃত্বদের মধ্যে ছিলেন রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর, প্রবক্তা গৌতম দাস, বাদল চৌধুরী, মানিক দে,রতন ভৌমিক, পবিত্র কর,রমা দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৫শে নভেম্বর ২০১৮ইং