একজন ক্ষতিসাধনকারী একজন দুর্বলকে মারছে। দুর্বল যে, সে বলদৈন্যে দুর্বল নয়। তারও তূণভরা তির আছে। কিন্তু সে পড়ে পড়ে মার খাচ্ছে। আসলে তার রণে মন নেই। মন যে নেই, সেকথা বলে ফেলারও মন করে না তার। তাই মার খাচ্ছে। এভাবে বহু বছর দুর্বলটি মার খেল। মরল না। মরে না শালারা। বরং সে মন দিয়ে যুদ্ধকৌশলের ব্যর্থতা নিয়ে ভেবেছে। শিক্ষা নিয়েছে।
তথাপি, একদিন সে উঠে দাঁড়ালো। কোনওমতে সবলের মুখের সামনে তুলে দিল কম্পিত তর্জনী। ‘আসছি। শোধ নেব’। বলে সে চলে গেল।
তারপর আর আসে না। আসে না।
এদিকে সবলের দারুণ কষ্ট। নিদারুণ শূন্যতা। কারণ প্রতিটি আঘাত প্রত্যাঘ্যাত প্রত্যাশা করে। প্রতিটি আক্রমণ প্রতি-আক্রমণ কামনা করে। দিন যায়, যুদ্ধের অভাবে অভাবে বলশালী হীন হয়ে যেতে থাকে। মার খেয়ে ফিরে যাওয়া দুর্বল প্রতিশোধ নিতে আসে না। এলেই না তবে নতুন যুদ্ধকলা কাজে লাগানো যেত। আসে না। বলশালীর পাগল-পাগল লাগে। তার খালি মনে হয়, সেই দুর্বল শেষে ক্ষমা করে দিয়ে যায়নি তো? এই চিন্তা তার সমূহকে ঘিরে প্রেতনৃত্য করতে থাকে।
কারণ, ক্ষমা-র মত অস্ত্র নেই।
লেখকঃ অশোক দেব,বিশিষ্ট লেখক,ত্রিপুরা