তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
গঙ্গা বাঁচাও, নদী বাঁচাও, জল সংরক্ষণ - এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী চলছে অবিরল গঙ্গা যাত্রা নামে এক কর্মসূচী। তারই অঙ্গ হিসেবে রাজ্যে আসেন জলনায়ক উপাধিপ্রাপ্ত স্নেহাল দন্ডে। রাজ্যের নদীগুলিকে কিভাবে বাঁচানো যায়, কিভাবে এগুলির নাব্যতা বাড়ানো যাবে, নদীতে স্যানিটেশনের সমস্যা কিভাবে দূর করা যায় - এসমস্ত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখেন তিনি। আর এই কাজে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
সোমবার(১৪ জানুয়ারি) আগরতলা প্রেসক্লাবে গঙ্গা মিশনের জাতীয় আহ্বায়ক স্নেহাল দন্ডে বলেন - দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ নদী শুকিয়ে গিয়েছে। কোনও নদীই প্রাকৃতিকভাবে তার সঠিক নিয়মে চলতে পারছে না। নদীর উপর বাঁধ তৈরি না করার পক্ষেও কথা বলেন তিনি। নদীগুলিকে রক্ষা করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। কারণ প্রকৃতির মধ্যে একটি স্বাস্থ্যবান নদী তার গতিপথে সঠিকভাবে বয়ে গেলেই সমাজে মানুষ স্বাস্থ্যবান হতে পারেন। শ্রীমতী দন্ডে আরও বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও নদীর গতিপথ ঠিক থাকা প্রয়োজন। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়ে বলেন - ত্রিপুরার নদীগুলি বাঁচানোর জন্য যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী যেন সেই প্রচারে অংশ নেন। ওয়াটার লিটারেসি প্রোগ্রামে রাজ্য সরকারকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান। অবিরল গঙ্গাযাত্রা ২০১৯ নামে যে কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে তা ত্রিপুরা থেকেই শুরু হয়েছে। শ্রীমতী দন্ডে স্পষ্টতই বলেন - ত্রিপুরার সবকটি নদীতেই স্যানিটেশনের সমস্যা রয়েছে।নদীগুলির নাব্যতা বাড়াতে হবে। বন,জমি ও নদী কিংবা জল সংরক্ষণ এই তিনটি দপ্তরকে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। ওয়ার্ল্ড ওয়াটার কাউন্সিলের এই সদস্যা জানান - জল নিয়েও এখন ব্যবসা চলছে। মিনারেল ওয়াটার বলে জলের বোতল বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ মিনারেল থাকছে না। গঙ্গার জল ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া মুক্ত। গঙ্গা বাঁচানোর দাবিতে জি।ডি আগরওয়াল ১১০ দিন শুধু গঙ্গাজল খেয়ে বেঁচে ছিলেন। তারপরও সরকার তার দাবির প্রতি নজর না দেওয়ায় জল খাওয়া ছেড়ে দেন। এর দুইদিন পরই তার মৃত্যু হয়।
এদিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনের পর শ্রীমতী দন্ডে সূর্যমণিনগরস্থিত ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সেখানে নদী ও জল সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। দাবি তোলেন রিভার ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট কোর্স চালু করার। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভি এল ধারুরকর তাতে সহমত পোষণ করেন। মঙ্গলবার(১৫ জানুয়ারি) শ্রীমতী দন্ডের পরিকল্পনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৪ই জানুয়ারি ২০১৯ইং
গঙ্গা বাঁচাও, নদী বাঁচাও, জল সংরক্ষণ - এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী চলছে অবিরল গঙ্গা যাত্রা নামে এক কর্মসূচী। তারই অঙ্গ হিসেবে রাজ্যে আসেন জলনায়ক উপাধিপ্রাপ্ত স্নেহাল দন্ডে। রাজ্যের নদীগুলিকে কিভাবে বাঁচানো যায়, কিভাবে এগুলির নাব্যতা বাড়ানো যাবে, নদীতে স্যানিটেশনের সমস্যা কিভাবে দূর করা যায় - এসমস্ত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখেন তিনি। আর এই কাজে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
সোমবার(১৪ জানুয়ারি) আগরতলা প্রেসক্লাবে গঙ্গা মিশনের জাতীয় আহ্বায়ক স্নেহাল দন্ডে বলেন - দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ নদী শুকিয়ে গিয়েছে। কোনও নদীই প্রাকৃতিকভাবে তার সঠিক নিয়মে চলতে পারছে না। নদীর উপর বাঁধ তৈরি না করার পক্ষেও কথা বলেন তিনি। নদীগুলিকে রক্ষা করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। কারণ প্রকৃতির মধ্যে একটি স্বাস্থ্যবান নদী তার গতিপথে সঠিকভাবে বয়ে গেলেই সমাজে মানুষ স্বাস্থ্যবান হতে পারেন। শ্রীমতী দন্ডে আরও বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও নদীর গতিপথ ঠিক থাকা প্রয়োজন। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়ে বলেন - ত্রিপুরার নদীগুলি বাঁচানোর জন্য যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী যেন সেই প্রচারে অংশ নেন। ওয়াটার লিটারেসি প্রোগ্রামে রাজ্য সরকারকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান। অবিরল গঙ্গাযাত্রা ২০১৯ নামে যে কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে তা ত্রিপুরা থেকেই শুরু হয়েছে। শ্রীমতী দন্ডে স্পষ্টতই বলেন - ত্রিপুরার সবকটি নদীতেই স্যানিটেশনের সমস্যা রয়েছে।নদীগুলির নাব্যতা বাড়াতে হবে। বন,জমি ও নদী কিংবা জল সংরক্ষণ এই তিনটি দপ্তরকে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। ওয়ার্ল্ড ওয়াটার কাউন্সিলের এই সদস্যা জানান - জল নিয়েও এখন ব্যবসা চলছে। মিনারেল ওয়াটার বলে জলের বোতল বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ মিনারেল থাকছে না। গঙ্গার জল ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া মুক্ত। গঙ্গা বাঁচানোর দাবিতে জি।ডি আগরওয়াল ১১০ দিন শুধু গঙ্গাজল খেয়ে বেঁচে ছিলেন। তারপরও সরকার তার দাবির প্রতি নজর না দেওয়ায় জল খাওয়া ছেড়ে দেন। এর দুইদিন পরই তার মৃত্যু হয়।
এদিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনের পর শ্রীমতী দন্ডে সূর্যমণিনগরস্থিত ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সেখানে নদী ও জল সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। দাবি তোলেন রিভার ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট কোর্স চালু করার। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভি এল ধারুরকর তাতে সহমত পোষণ করেন। মঙ্গলবার(১৫ জানুয়ারি) শ্রীমতী দন্ডের পরিকল্পনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৪ই জানুয়ারি ২০১৯ইং