Type Here to Get Search Results !

ভারত সরকারের অর্থায়নে তিনশ’ বছরের প্রাচীন নাটোরের জয়কালী মাতার পুননির্মিত মন্দিরের উদ্বোধন

আবু আলী, ঢাকা,আরশিকথা ॥ ভারত সরকারের কোটি টাকা অর্থায়নে তিনশ’ বছরের প্রাচীন নাটোরের জয়কালী মাতার মন্দির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২৭ জুলাই সোমবার সংস্কার কাজ শেষে এর উদ্বোধন করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ। প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাটোর-২ (নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উচ্চতম পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডে ভারত নিরবচ্ছিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাস্তবায়নাধীন দেশের ১২টি আইটি পার্কে ভারত সরকারের অর্থায়ন আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বেগবান করবে। ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, একই সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্যের বন্ধনে আবদ্ধ ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের সম্পর্ক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সূচিত বন্ধুত্বপূর্ণ এ সম্পর্ক বর্তমানে আরো গতিশীল হয়েছে। ভারত সরকার বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে এবং জীবন-জীবিকার উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে এ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো জোড়দার করতে চায়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের ঐকান্তিক সহযোগিতা এদেশের মানুষ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। মধ্যম আয়ের দেশে ধাবিত এ দেশের উন্নয়নকে তরান্বিত করতে ভারত সহযোগিতা দিয়ে যাবে বলে দেশের মানুষ আশা করে। রাজশাহীস্থ ভারতীয় উপ হাই কমিশনের সহকারী হাই কমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। মন্দির কমিটির সভাপতি খগেন্দ্রনাথ সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছা. শরীফুন্নেছা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি ও নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান।
উল্লেখ্য, রাজা দয়ারাম রায় প্রায় ৩০০ বছর আগে দেশের অন্যতম প্রাচীন জয়কালী মাতার মন্দির স্থাপন করেন। মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ মন্দিরটি পরবর্তীতে সংস্কার করা হলেও জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। জরাজীর্ণ এ মন্দিরের সংস্কারে ভারত সরকার ৯৭ লাখ টাকা প্রদান করে। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া সংস্কার কাজের ব্যয় বৃদ্ধি পেলে স্থানীয় অর্থায়নসহ মোট এক কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্দির কমিটি।

২৭শে জুলাই ২০২০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.