Type Here to Get Search Results !

স্টুপিড না হওয়ার ৫ উপায়!


আপনার কি ধারণা আপনি খুব বুদ্ধিমান? যদি ভেবে থাকেন তবে আপনি তো স্টুপিডও হয়ে যেতে পারেন কোনো কোনো সময়! গবেষকরা এ নিয়েও গবেষণা করেছেন এবং বলেছেন, বুদ্ধিমত্তা বিকাশের পাশাপাশি স্টুপিড না হওয়ারও কৌশল আছে। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বৈদ্যুতিক আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকালে একবার নিজের সামান্য ভুলে বিদ্যুতায়িত হয়ে মরতে বসেছিলেন। পরে তিনিই একাধারে লেখক, চিত্রশিল্পী, রাজনীতিবিদ, বিজ্ঞানী, সঙ্গীতজ্ঞ, উদ্ভাবক, রাষ্ট্রপ্রধান ও কূটনীতিক হিসেবে সফল বলে প্রমাণিত হন। 
স্টুপিড বলে প্রমাণিত না হতে পাঁচটি উপায় বাছাই করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এ পাঁচটি পর্যায় অনুশীলনের মাধ্যমে আপনি আপনার ভেতরের প্রতিভা খুঁজে পাবেন এবং সঠিকভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম হবেন। এর মধ্যে রয়েছে- নিজের ত্রুটি চিহ্নিত করা, নিজের অবস্থান থেকে অবনত হতে প্রস্তুত থাকা, নিজের আদর্শ নিয়ে নিজের সঙ্গেই তর্ক ও অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা, ‘কি হতো, যদি এটা হতো..’ নিয়ে কল্পনাশক্তির বিকাশ ও নিজের কাজের তালিকার অবমূল্যায়ন না করা।
 
এ বিষয়ে অনুপ্রেরণা খুঁজতে স্টানবার্গকে অনুসরণ করা যেতে পারে। বাল্যজীবনে তিনি আইকিউ টেস্টে পাস করতে পারেননি, পড়ালেখায়ও ভালো ছিলেন না। তার সব শিক্ষকরা তাকে, এমনকি তিনি নিজেও নিজেকে স্টুপিড বলে ভাবতেন। পরে চিন্তার অনুশীলন ও মনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তিনিই এখন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক। 
 
 
স্টানবার্গ বলেন, এটা স্পষ্ট, বুদ্ধি মানে এই নয় যে, আপনি অনেক যৌক্তিক বা বিচক্ষণ হবেন। এটি আইকিউ পরীক্ষায় অর্জিত নম্বরও নয়। বরং এটি সেটাই যে, আপনার জীবন সম্পর্কে চিন্তা করার ক্ষমতা আছে, আপনি কি অর্জন করতে ও তার উপায় খুঁজে পেতে চান।

‘এমনকি আপনার নিজের কিছু বেদনাদায়ক আত্মসচেতনতাও এতে জড়িত।’
আমেরিকান সার্জন অতুল গাওয়ান্ডি বলেন, রোগ নিরসনে ওষুধের বিস্ময়কর দক্ষতা থাকলেও ড্রেসিংয়ের সময় সার্জনের হাত না ধোয়া বা পরিষ্কার না থাকা বা নিছক অসতর্কতা জীবনে ক্ষতির কারণ হতে পারে। ব্যবসায় অদূরদর্শী চিন্তা একটি কোম্পানির পতন ঘটাতে পারে।

হানা বারবারার মতে, আপনার নিজের চিন্তা-ভাবনার ত্রুটিগুলো অস্বীকার করার প্রবণতা, নিজেকে চালাক বলে ভাবা, নিজের প্রতি পক্ষপাত, অনিশ্চিত প্রত্যয়, কিছু অবচেতন গোঁড়ামিতে ভোগা ও আত্মদ্বন্দ্ব আপনাকে স্টুপিড বলে শনাক্ত করতে পারে।

তাই আগে নিজের ত্রুটি নির্মোহ ও সঠিকভাবে চিহ্নিত করার পরামর্শ দেন মনোবিজ্ঞানীরা। অনিশ্চয়তাকে সহজে মোকাবেলা ও নতুন প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে দ্রুত ও স্বেচ্ছায় মন পরিবর্তনের ওপরও জোর দিচ্ছেন তারা। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিপ টেটলক বলেন, একটি উচ্চ আইকিউ খোলা মানসিকতার ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল।
টেটলক বলেন,
  ‘মানসিক নম্রতার পাশাপাশি নিজের জ্ঞানের সীমা-সামর্থ্য নিয়ে ধারণা অর্জন করতে হবে। অনুমানের ওপর সিদ্ধান্ত না নিয়ে অতিরিক্ত তথ্য খুঁজে ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও বিবেচনা দিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। নিজের অবস্থান থেকে নিচের দিকে যাওয়া বা চিহ্নিত করতে পারাও আমাদের স্টুপিড করবে না’।

স্টানবার্গের মতে, আগের ঘটনা পুনরায় কল্পনা করা বুদ্ধিমান হওয়ার উপায় হতে পারে। তরুণ ও শিশুদের এ ধরনের চিন্তা তাদের সামাজিক দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। ফলে বুদ্ধিমত্তা বাড়ে বা স্টুপিড হতে হয় না। জটিল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে নিজের কাজের তালিকা করা ও তার মূল্যায়নের পরামর্শ দেন জনস হপকিন্স হাসপাতালের ডা. গাওয়ান্ডি। তিনি বলেন, ‘আপনার পেশা যাই হোক না কেন, বিবেচনাযোগ্য তথ্য ও কাজের চেকলিস্টকে মূল্যায়ন করুন’।

সৌজন্যেঃ প্রভাস চৌধুরী,বাংলাদেশ
ছবিঋণঃ ইন্টারনেট হইতে সংগৃহীত

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.