তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
রাজ্যে নয়া সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ধারাবাহিকভাবে সোচ্চার রয়েছে সিপিএম ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলি। এবার কাজ, খাদ্য ও গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে গনমুক্তি পরিষদের পশ্চিম জেলা কমিটি। শনিবার(২১জুলাই) আগরতলায় এক পথসভার পর ডেপুটেশন দেয় পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসকের কাছে। অফিস লেনে আয়োজিত পথসভায় বিশিষ্টদের মধ্যে ছিলেন সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরী, এডিসি এর মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য রাধাচরণ দেববর্মা, প্রাক্তন বনমন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া সহ অন্যান্যরা।
সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরী তার বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগের তীরে বিঁধলেন। খারচি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সিপিএম'কে কটাক্ষ করে বলেছিলেন বিগত ২৫ বছর রাজ্যে ধর্ম ছাড়াই রাজকার্য চলছিলো। তাই এখন রাজ্যের বেকার সমস্যা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, মহিলা নির্যাতনের মতো সমস্যা লেগে রয়েছে। এর উত্তরে সাংসদ শ্রী চৌধুরী বলেন, বামফ্রন্টকে রাজধর্ম পালনের পাঠ শেখাতে হবেনা। নয়া সরকার প্রতিষ্ঠিত হতেই মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার পালনের অধিকারটুকুও হারিয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া কিংবা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলের ও বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলির কার্যালয়। এখনও বহু কর্মী সমর্থক বাড়িঘরে যেতে পারছেন না। খুন,সন্ত্রাসের ঘটনা বিগত চার মাসে বেড়েই চলেছে। এর পিছনে রাজ্যের এক মন্ত্রীর দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যকে দায়ী করা হয়। গ্রাম পাহাড়ে মানুষের হাতে কাজ নেই বলে অভিযোগ করেন জিএমপি নেতৃত্বরা।
স্তব্ধ হয়ে আছে গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ। কাজ না থাকায় দেখা দিয়েছে অর্থের অভাব। এর ফলে খাদ্য সংকটে ভুগছেন গ্রামীণ এলাকার বিশেষ করে জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকেরা। বিজেপি সরকার মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বলে মন্তব্য করেন সাংসদ শ্রী চৌধুরী। একশো দিনের মধ্যে সপ্তম বেতন কমিশন, সামাজিক ভাতা বৃদ্ধি করা, ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান, যুবাদের স্মার্টফোন- কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। পথসভার পর গণমুক্তি পরিষদের পশ্চিম জেলার পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল ডেপুটেশন দেন জেলাশাসকের কাছে। কাজ ও খাদ্যের দাবিতে এবং আইনের শাসন পুনঃ প্রতিষ্ঠার দাবিতে মূলত এই ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২১শে জুলাই ২০১৮ইং
রাজ্যে নয়া সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ধারাবাহিকভাবে সোচ্চার রয়েছে সিপিএম ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলি। এবার কাজ, খাদ্য ও গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে গনমুক্তি পরিষদের পশ্চিম জেলা কমিটি। শনিবার(২১জুলাই) আগরতলায় এক পথসভার পর ডেপুটেশন দেয় পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসকের কাছে। অফিস লেনে আয়োজিত পথসভায় বিশিষ্টদের মধ্যে ছিলেন সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরী, এডিসি এর মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য রাধাচরণ দেববর্মা, প্রাক্তন বনমন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া সহ অন্যান্যরা।
সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরী তার বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগের তীরে বিঁধলেন। খারচি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সিপিএম'কে কটাক্ষ করে বলেছিলেন বিগত ২৫ বছর রাজ্যে ধর্ম ছাড়াই রাজকার্য চলছিলো। তাই এখন রাজ্যের বেকার সমস্যা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, মহিলা নির্যাতনের মতো সমস্যা লেগে রয়েছে। এর উত্তরে সাংসদ শ্রী চৌধুরী বলেন, বামফ্রন্টকে রাজধর্ম পালনের পাঠ শেখাতে হবেনা। নয়া সরকার প্রতিষ্ঠিত হতেই মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার পালনের অধিকারটুকুও হারিয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া কিংবা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলের ও বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলির কার্যালয়। এখনও বহু কর্মী সমর্থক বাড়িঘরে যেতে পারছেন না। খুন,সন্ত্রাসের ঘটনা বিগত চার মাসে বেড়েই চলেছে। এর পিছনে রাজ্যের এক মন্ত্রীর দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যকে দায়ী করা হয়। গ্রাম পাহাড়ে মানুষের হাতে কাজ নেই বলে অভিযোগ করেন জিএমপি নেতৃত্বরা।
স্তব্ধ হয়ে আছে গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ। কাজ না থাকায় দেখা দিয়েছে অর্থের অভাব। এর ফলে খাদ্য সংকটে ভুগছেন গ্রামীণ এলাকার বিশেষ করে জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকেরা। বিজেপি সরকার মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বলে মন্তব্য করেন সাংসদ শ্রী চৌধুরী। একশো দিনের মধ্যে সপ্তম বেতন কমিশন, সামাজিক ভাতা বৃদ্ধি করা, ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান, যুবাদের স্মার্টফোন- কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। পথসভার পর গণমুক্তি পরিষদের পশ্চিম জেলার পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল ডেপুটেশন দেন জেলাশাসকের কাছে। কাজ ও খাদ্যের দাবিতে এবং আইনের শাসন পুনঃ প্রতিষ্ঠার দাবিতে মূলত এই ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২১শে জুলাই ২০১৮ইং