এস আর এ হান্নান, বাংলাদেশ।।
বিলের বিশাল মাঠজুড়ে হাজার হাজার মানুষ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে জনসভাস্থলে অথবা অন্যকোনো জমজমাট আয়োজনে সমবেত হয়েছেন অগণিত মানুষ। কিন্তু না, সেরকমটা মোটেও নয়। খুলানাঞ্চলের সর্ববৃহৎ এবং প্রায় দু’শ বছরের প্রাচীণতম ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় উপভোগ করতেই হাজার হাজার দর্শক জমায়েত হয়েছেন সেখানে। রোববার বিকালে মাগুরার মহম্মদপুরের বালিদিয়া ইউনিয়নের বড়রিয়া গ্রামের কানাবিলে অনুষ্ঠিত হয় এ অঞ্চলের সবচে বৃহৎ ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা। ঐতিহ্যবাহী ও মনোমুগ্ধকর এই প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে কানাবিলে মানুষের ঢল নামে। অন্যরকম উৎসবমূখতায় মেতে ওঠেন হাজার হাজার আমুদে দর্শক। নানান এলাকা থেকে বিভিন্ন পথে লোকজন এসে জড়ো হয়েছেন। শিশু-কিশোর, ছেলে-বুড়ো ও নারীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ অভীন্ন উদ্দেশ্যে এক কাতারে সামিল হয়েছেন। সবারই উদ্দেশ্য গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় উপভোগ করা। এদিন দুপুরের পর এমন চিত্রই দেখাগেছে। প্রতি বছর বাংলা ২৮ পৌষ ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা এবং এ উপলক্ষে বিশাল মেলা বসে। ঘড়ির কাটা তখন আড়াইটা ছুঁই ছুঁই। একে একে ২৩টি ঘোড়ার উপস্থিতি চোখে পড়লো। আগে থেকেই ঘোড় দৌড়ের নির্দ্দিষ্ট বৃত্তাকৃতির পথপরিক্রমা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঘোড় দৌড়ের এই পথে ঘোড়া মালিক, ফকির ও ছোয়াররা (জকি) ঘোড়াকে তার পথপরিক্রমায় প্রাথমিক মহড়ায় ব্যস্ত হয়ে উঠছেন। আড়াইটার পর পরই শুরু হয় ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা। ছোয়ারের বাঁশির ছন্দময় আওয়াজে ঘোড়া ছুঁটছে দুর্বার গতিতে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তা ও বিলের বিশাল প্রান্তরে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেন ঘোড় দৌড়। শীতের বিকালে মিস্টি দৌদ্দুরে এক অন্যরকম উৎসব আনন্দে মেতে ওঠেন দর্শকরা। দুচোখ ভরে উপভোগ করে ঐতিহ্যবাহী এ ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় মহম্মদপুরের মাইজপাড়া গ্রামের সোবহান সরদারের প্রথম স্থান দখল করে জিতে নেয় নগদ ৫ হাজার টাকা। একই উপজেলার পাল্লা গ্রামের আবদুল কুদ্দুস এবং নাওভাঙ্গা গ্রামের হাবিবুর রহমানরে ঘোড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান লাভ করে জিতে নেয় ৩ হাজার ও ২ হাজার টাকা করে। এছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া অন্য ২০টি ঘোড়া মালিকের প্রত্যেককে এক হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। রাতে মেলার কমিটি বক্সের সামনে থেকে ওই পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
প্রাচীণতম এ মেলাকে ঘিরে শুধু বড়রিয়া নয়-উৎসব আনন্দে মাতেন আশেপাশের অন্তত: ৫০ গ্রামের মানুষ। মেলার মূল আকর্ষণ অর্থাৎ এতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় গত রোববার অনুষ্ঠিত হয়ে গেলেও মেলা থাকবে আরো অন্তত: এক সপ্তাহ। মেলা উপলক্ষে ঘরে ঘরে চলে পিঠা-পায়েশ তৈরিসহ নানান আয়োজন। প্রতিবাড়িতেই আত্ত্বীয়-স্বজনেরা আসেন। সবার মধ্যেই বিরাজ করে খুশির হিল্লোল। লাখো মানুষের সরব উপস্থিতি ও পদচারণায় মূখরিত থাকে মেলা প্রাঙ্গণ। মাগুরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলার নানান ব্যবসায়ীরা এ মেলায় স্টল বসিয়ে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করছেন। চুড়িফিতা থেকে শুরু করে মিস্টিমিঠাইসহ ঘরগৃহস্থালির সব ধরণের পণ্য পাওয়া যায় এ মেলাতে। নাগরদোলাসহ বিনোদনের হরেক ব্যবস্থাও থাকে ঔতিহ্যবাহী এ মেলাতে।
বিলের বিশাল মাঠজুড়ে হাজার হাজার মানুষ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে জনসভাস্থলে অথবা অন্যকোনো জমজমাট আয়োজনে সমবেত হয়েছেন অগণিত মানুষ। কিন্তু না, সেরকমটা মোটেও নয়। খুলানাঞ্চলের সর্ববৃহৎ এবং প্রায় দু’শ বছরের প্রাচীণতম ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় উপভোগ করতেই হাজার হাজার দর্শক জমায়েত হয়েছেন সেখানে। রোববার বিকালে মাগুরার মহম্মদপুরের বালিদিয়া ইউনিয়নের বড়রিয়া গ্রামের কানাবিলে অনুষ্ঠিত হয় এ অঞ্চলের সবচে বৃহৎ ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা। ঐতিহ্যবাহী ও মনোমুগ্ধকর এই প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে কানাবিলে মানুষের ঢল নামে। অন্যরকম উৎসবমূখতায় মেতে ওঠেন হাজার হাজার আমুদে দর্শক। নানান এলাকা থেকে বিভিন্ন পথে লোকজন এসে জড়ো হয়েছেন। শিশু-কিশোর, ছেলে-বুড়ো ও নারীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ অভীন্ন উদ্দেশ্যে এক কাতারে সামিল হয়েছেন। সবারই উদ্দেশ্য গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় উপভোগ করা। এদিন দুপুরের পর এমন চিত্রই দেখাগেছে। প্রতি বছর বাংলা ২৮ পৌষ ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা এবং এ উপলক্ষে বিশাল মেলা বসে। ঘড়ির কাটা তখন আড়াইটা ছুঁই ছুঁই। একে একে ২৩টি ঘোড়ার উপস্থিতি চোখে পড়লো। আগে থেকেই ঘোড় দৌড়ের নির্দ্দিষ্ট বৃত্তাকৃতির পথপরিক্রমা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঘোড় দৌড়ের এই পথে ঘোড়া মালিক, ফকির ও ছোয়াররা (জকি) ঘোড়াকে তার পথপরিক্রমায় প্রাথমিক মহড়ায় ব্যস্ত হয়ে উঠছেন। আড়াইটার পর পরই শুরু হয় ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা। ছোয়ারের বাঁশির ছন্দময় আওয়াজে ঘোড়া ছুঁটছে দুর্বার গতিতে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তা ও বিলের বিশাল প্রান্তরে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেন ঘোড় দৌড়। শীতের বিকালে মিস্টি দৌদ্দুরে এক অন্যরকম উৎসব আনন্দে মেতে ওঠেন দর্শকরা। দুচোখ ভরে উপভোগ করে ঐতিহ্যবাহী এ ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় মহম্মদপুরের মাইজপাড়া গ্রামের সোবহান সরদারের প্রথম স্থান দখল করে জিতে নেয় নগদ ৫ হাজার টাকা। একই উপজেলার পাল্লা গ্রামের আবদুল কুদ্দুস এবং নাওভাঙ্গা গ্রামের হাবিবুর রহমানরে ঘোড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান লাভ করে জিতে নেয় ৩ হাজার ও ২ হাজার টাকা করে। এছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া অন্য ২০টি ঘোড়া মালিকের প্রত্যেককে এক হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। রাতে মেলার কমিটি বক্সের সামনে থেকে ওই পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
প্রাচীণতম এ মেলাকে ঘিরে শুধু বড়রিয়া নয়-উৎসব আনন্দে মাতেন আশেপাশের অন্তত: ৫০ গ্রামের মানুষ। মেলার মূল আকর্ষণ অর্থাৎ এতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় গত রোববার অনুষ্ঠিত হয়ে গেলেও মেলা থাকবে আরো অন্তত: এক সপ্তাহ। মেলা উপলক্ষে ঘরে ঘরে চলে পিঠা-পায়েশ তৈরিসহ নানান আয়োজন। প্রতিবাড়িতেই আত্ত্বীয়-স্বজনেরা আসেন। সবার মধ্যেই বিরাজ করে খুশির হিল্লোল। লাখো মানুষের সরব উপস্থিতি ও পদচারণায় মূখরিত থাকে মেলা প্রাঙ্গণ। মাগুরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলার নানান ব্যবসায়ীরা এ মেলায় স্টল বসিয়ে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করছেন। চুড়িফিতা থেকে শুরু করে মিস্টিমিঠাইসহ ঘরগৃহস্থালির সব ধরণের পণ্য পাওয়া যায় এ মেলাতে। নাগরদোলাসহ বিনোদনের হরেক ব্যবস্থাও থাকে ঔতিহ্যবাহী এ মেলাতে।
১৩ই জানুয়ারি ২০২০