Type Here to Get Search Results !

'হর ঘর জল' স্লোগানকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজ্যে মিশন মুডে কাজ চলছে : মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,আরশিকথাঃ


রাজ্যে ২০২২ সালের মধ্যে জনজীবন মিশনে প্রতিটি নাগরিকের বাড়িতে পাইপলাইনে স্বচ্ছ পানীয় জল পৌঁছে দিতে পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তর নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হর ঘর জল স্লোগানকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজ্যে মিশন মুডে কাজ চলছে। রবিবার খোয়াই জেলাশাসকের অফিসের কনফারেন্স হলে খোয়াই জেলাভিত্তিক জলজীবন মিশনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি নিয়ে খোয়াই জেলার জেলাশাসকের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এক উচ্চপর্যালয়ের পর্যালোচনা বৈঠকে পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। পর্যালোচনা বৈঠকে মন্ত্রী শ্রীচৌধুরী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গদর্শনে ও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সুযোগ্য নির্দেশনা ও পরিচালনায় ২০২২ সালের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকের বাড়িতে পাইপলাইনে স্বচ্ছ পানীয়জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার কাজ করছে। পর্যালোচনা বৈঠকে পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান মন্ত্রী জনজীবন মিশন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবগত হন। তিনি এই মিশনের সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেন। পর্যালোচনা বৈঠকে মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী বলেন, ভিশন ডকুমেন্ট বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি পরিবারে স্বচ্ছ পানীয়জলের সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি বলেন, এই মিশন ১০০ শতাংশ সফল করতে রাজ্য সরকার সমস্ত ধরনের সহায়তা করবে। সভায় পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান মন্ত্রী শ্রীচৌধুরী জনকল্যাণে গৃহীত সরকারি প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গুণগতমান বজায় রেখে সম্পন্ন করার উপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন। সভার শুরুতে খোয়াই জেলার বিভিন্ন মহকুমায় জলজীবন মিশনের কাজকর্ম নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। মহকুমার নির্বাহী বাস্তুকারাণ ও সহকারি বাস্তুকারগণ জলজীবন মিশনের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা করেন। জেলায় বাড়ি বাড়ি পানীয়জলের সংযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া কতদূর এগিয়েছে, এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কি কি সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সে বিষয়গুলি আধিকারিকরণ পর্যালোচনা বৈঠকে তুলে ধরেন। বৈঠকে মন্ত্রী শ্রীচৌধুরী সমস্যাগুলি নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনিকস্তরে কথা বলার পরামর্শ দেন।পর্যালোচনা বৈঠকে পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান মন্ত্রী আরও বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পানীয়জলের সংযোগ দিতে হবে। লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে এই মিশনের কাজ চ্যালেঞ্জের সাথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। 

পর্যালোচনা বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী, কল্যাণপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সোমেন গোপ, তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান যমুনা দাস (রায়), খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস দাস, মুঙ্গিয়াকামী ব্লক অ্যাডভাইজারি কমিটির চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা, পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, খোয়াই জেলার জেলাশাসক স্মিতা মল, খোয়াই, তেলিয়ামুড়া মহকুমার মহকুমা শাসক, কল্যাণপুর, তুলাশিখর, খোয়াই, তেলিয়ামুড়া, পদ্মবিল, মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকরা, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, প্রকল্পের সাথে যুক্ত নির্বাহী ও সহকারি বাস্তুকারগণ সহ অন্যান্য আধিকারিকগণ।


আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
৫ই ডিসেম্বর ২০২১

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.