শোষকের ভূমিকায়,শুধু পুরুষই?
সমাজের শোষিত কি শুধু--
নারীদেরই দেখা যায়?
পুরুষরা কি কেবলই, শোষকের ভূমিকায়? পরিস্থিতিটা, একদমই তাই নয়।
সুমন বাবুর মতো, পুরুষরাও সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে অত্যাচারিত হয়।।
নারীদের জন্য,একাধিক আইন--
লক্ষ্য করা যায়।
কিন্তু সংসারে,অত্যাচারিত পুরুষদের জন্য--
সেই আইন কোথায়?
সুমন বাবুর মতো,অনেকেই বোধহয়,
লজ্জার কারণে, এক হয়--
অন্যথায়, আইনের পায় ভয়--
তারপরে, জীবন যুদ্ধের পরাজয়!!
পারিবারিক হিংসার--
ও বৈবাহিক নিষ্ঠুরতার--
যে সমস্ত পুরুষরা, নিঃশব্দে হচ্ছেন শিকার,
আইনের আওতায় এবার,
তাদেরও সুবিচার পাওয়ার,
আছে দরকার।।
কাবেরীর মতো কিছু, নারী আছেন হায়।
নিরীহ, সুমন বাবুদের--
জীবন শেষের, কারণ হয়ে দাঁড়ায়।।
প্রত্যেক মহিলাকে তার--
অবশ্যই দিতে হবে- সম্মানের অধিকার।।
একথা একবার নয়--
স্বীকার্য, হাজার বার।।
মহিলাদের সম্মানের ক্ষেত্রে,
আমিও সবসময় অনড়।
প্রকৃত অর্থে, তারাই ঘরের লক্ষী--
সামলায়, নিজের ঘর ।।
কখনোই, কোনো মহিলার--
বিরুদ্ধে, কোনো প্রকার,
নির্যাতনের প্রশ্রয় দেওয়া, হয় না যেন আর।
এই দিকে যত্ন নেওয়া--
আমাদের সবার, অবশ্যই দরকার।।
কিন্তু সাথে সাথে, পুরুষদেরও--
সুরক্ষা ও অধিকার--
সুনিশ্চিত করবার, আছে দরকার..
নারী-পুরুষ, তো সমান সমান অধিকার,
সব ক্ষেত্রেই, আজ বলা হয় বারবার।
তবে সুমন বাবুদের মতো--
অবহেলিত পুরুষদের, দায়ভার কার?
এ প্রশ্ন, থেকে গেলো আমার?
প্রতিটি সফল পুরুষদের পেছনে--
হাত থাকে, একজন মহিলার।
এ কথা,সঠিক,জানা আছে সবার।
তবে, সফল মহিলাদের পেছনে--কি?
পুরুষের, কোনো হাত থাকে না, আর?
স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির থেকে--আন্তরিকতার,
সমর্থন পায়, বারবার।
এই সত্য কথার--
উদযাপন করা, হয় না আর।
প্রচারের আলোয়, আসে না একটি বার।
কেন? এ কথা করলে স্বীকার--?
ভয় থাকে কি?
নারীর ক্ষমতায়ন, কমে যাবার?
নারী পুরুষ সবাইকে--
সমান প্রাধান্য দেওয়ার--
বোধহয়, সময় এসেছে এবার?
( এই লেখা একান্ত ব্যক্তিগত আমার, কল্পনাপ্রসূত এক ভাবনা, আমার কলমে, সকল নারীদের সন্মান দিয়ে এই লেখা, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা অবলম্বনে)
- স্বপন তালুকদার
বারাসত,কোলকাতা
১৯শে নভেম্বর ২০২২