নিজস্ব প্রতিনিধি,
সর্বনাশা বিভিন্ন ধরনের নেশাদ্রব্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শিশু কিশোরদের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা দরকার। বিশেষ করে কৈশোরে কৌতুহল বশত এই নেশার মারণ জালে জড়িয়ে যায় অনেকেই।সেক্ষেত্রে সকলকে সচেতন হওয়া জরুরি।একই ভাবে সামাজিক কু-রীতির অন্যতম বাল্যবিবাহ এখনো সমাজের কিছু অংশে পরিলক্ষিত হয়। বর্তমান সময়ে গ্রামাঞ্চলে বাল্য বিবাহ লক্ষ্য করা যায়।এই দুই সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের সচেতন করতে বৃহস্পতিবার গান্ধীগ্রাম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জেলা ভিত্তিক সচেতনতা মুলক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার , ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্ণা দেব্বর্মা, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলা শাসক ডাঃ বিশাল কুমার ও প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ ধন দাস সহ আরও অনেকে।এদিন অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন, গত ৪০ বছর ধরে আস্তে আস্তে ত্রিপুরাতে নেশার বিস্তার ঘটেছে। তখনকার নেশার ছায়া কিন্তু এখনো আমরা ভুগছি। ২০১৮ সালে ত্রিপুরাতে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ও কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর জিরো টলারেন্স নীতি সেটা আমরা কিন্তু এখানে আহ্বান করেছি। সেটাকে কার্যকরও করেছি বলে তিনি জানান। আমাদের তিন-চার প্রজন্ম নষ্ট হয়েছে ড্রাগ এডিকশনের কারনে। যে ড্রাগ ত্রিপুরায় আসে সেগুলি বাইরে থেকে আসে, আর ত্রিপুরা থেকে যায় গাঁজা । সেক্ষেত্রে ত্রিপুরায় যেখানে গাঁজার চাষ হচ্ছে, সেখানে ধংস করা হচ্ছে।তারও শতাংশ অনেকটা বেড়েছে বলে অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান।এদিন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইভেন্টে জয়ী বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পুরস্কৃত করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে l
Akb tv news
17.07.2025