আবু আলী, ঢাকা ।।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও পাঁচ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে চার জন পুরুষ ও একজন নারী। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ১৭। এ ছাড়া, নতুন আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪১ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
৭ এপ্রিল মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় মোট শনাক্ত হয়েছেন যাদের মধ্যে কোভিড-১৯’র সংক্রমণ রয়েছে, এরকম সংখ্যা ৪১। গত ৮ মার্চের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১৬৪। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন আরও পাঁচ জন, যাদের মধ্যে কোভিড-১৯’র সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৭। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন মোট ৩৩ জন।’
‘নতুন আক্রান্ত ৪১ জনের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন ও নারী ১৩ জন। এদের মধ্যে ১০ বছর বয়সের নিচে একজন, ১১-২০ বছর বয়সের মধ্যে চার জন, ২১-৩০ বছর বয়সের মধ্যে ১০ জন, ৩১-৪০ বছর বয়সের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১-৫০ বছর বয়সের মধ্যে নয় জন, ৫১-৬০ বছর বয়সের মধ্যে সাত জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন পাঁচ জন। এই ৪১ জনের মধ্যে ২০ জনই ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার। এ ছাড়া, ঢাকার বাইরে আমরা ইতোমধ্যে জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ আমাদের জন্য একটা নতুন ক্লাস্টার হিসেবে আইডেনটিফাই হয়েছে। এই ৪১ জনের মধ্যে ১৫ জন নারায়ণগঞ্জের। এ ছাড়া, কুমিল্লায় একজন, কেরানীগঞ্জে একজন এবং চট্টগ্রামে একজন শনাক্ত হয়েছেন। যে পাঁচটি মৃত্যুর কথা আমরা বলেছি, তার মধ্যে পুরুষ চার জন, নারী একজন। তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব দুই জন, ৫০-৬০ বছর বয়সের মধ্যে রয়েছেন দুই জন এবং ৪১-৫০ বছর বয়সের মধ্যে একজন। পাঁচজনের মধ্যে দুজন ঢাকার, বাকি তিন জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার’, যোগ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করেছি ৭৯২টি। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বিতরণের প্রয়োজন হয় নাই। অদ্যাবধি ছয় লাখ ২৬ হাজার ৩৯৭টি পিপিই আমরা সংগ্রহ করেছি এবং ৪ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৪টি পিপিই বিতরণ করেছি। এখন আমাদের হাতে মজুদ রয়েছে একলাখ ৬৪ হাজার ৫০৩টি পিপিই।’
‘গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিন ৬০৬ জন, অদ্যাবধি ৬৭ হাজার ১১৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ৩২ জন, অদ্যাবধি ৩৩১ জন। সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ১০ হাজার ১৯০ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে রয়েছেন ১২৬ জন’।
৭ই এপ্রিল ২০২০
৭ই এপ্রিল ২০২০