Type Here to Get Search Results !

ভারতবর্ষের আধুনিক চিন্তা-চেতনার প্রেরণা শক্তি 'রাজা রামমোহন রায়' : ডঃ আশিস কুমার বৈদ্য,ত্রিপুরা

২২শে মে ১৭৭২, ভারত পথিক ,কালজয়ী সমাজ সংস্কারক,সুলেখক ও সুবক্তা,বাংলায় নব জাগরণের পথিকৃৎ রাজা রামমোহন রায় জন্মগ্রহণ করেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন-"বর্তমান বঙ্গ সমাজের ভিত্তি স্হাপন করিয়াছেন রামমোহন রায়।আমরা সমস্ত বঙ্গবাসী তাঁহার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী , তাঁহার নির্মিত ভবনে বাস করিতেছি।"
রাজা রামমোহন রায় শুধু বঙ্গ সমাজেই নয়,সমগ্র ভারত বর্ষের আধুনিক চিন্তা-চেতনার  উদ্গাতা।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন-"রামমোহন যখন ভারতবর্ষে জন্মগ্রহণ করেন তখন এখানে চতুর্দিকে কালরাত্রির অন্ধকার বিরাজ করিতেছিল।---"
তাঁর উল্লেখযোগ্য কর্মসাধনার মধ্যে সতীদাহ প্রথার নিবারণ আন্দোলনই প্রধান।আঠারশ ঊণত্রিশ সনে  তাঁর যুক্তিসিদ্ধ তীব্র আন্দোলনের ফলে লর্ড উইলিয়াম বেনটিঙ্ক সতীদাহ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।ফলশ্রুতি স্বরূপ সতীদাহের নামে এক নিষ্ঠুর ভাবে নারী হত্যার মতো ঘৃণ্য কুসংস্কার থেকে হিন্দু সমাজ রক্ষা পায়।জয় লাভ করে মানবিক চেতনা।পরবর্তী কালে পন্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ আন্দোলন করে সফল হন।তাঁর সমকালেও প্রতিকূল অবস্হা বিদ্যমান থাকায়  রাজা রামমোহন রায়ের মতো  তাঁকেও কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হয়েছিল।রক্ষণশীল সমাজের বুকে দাঁড়িয়ে তিনি যে লড়াই করেন তার পশ্চাতে ছিল রাজা রামমোহন রায়ের প্রেরণাশক্তি।
আঠারশো ত্রিশ সনে দিল্লীর বাদশা দেওয়ান রামমোহন রায়কে "রাজা"উপাধিতে ভূষিত করেন।রাজা রামমোহন রায় মানব ধর্মকেই শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা দিয়েছেন।

আধুনিক ভারতবর্ষের জনক রাজা রামমোহন রায়ের আদর্শ শিরোধার্য করে ,সতীদাহ প্রথা নিবারণ আইনকে মান্যতা দিয়ে আমাদের ত্রিপুরার প্রথম আধুনিক মনস্ক মহারাজা বীরচন্দ্র মাণিক্য বাহাদুর রাজা রামমোহন রায়ের জন্মদিনে ত্রিপুরায় সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করেন।ভারতবর্ষের বরেণ্য এই মহামানব রাজা রামমোহন রায় এর প্রতি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি


ডঃ আশিস কুমার বৈদ্য
গ্রন্থকার ও লেখক
ত্রিপুরা
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
২১শে জুন ২০২০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.