সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে আজ জলজীবন মিশনের কাজের অগ্রগতি নিয়ে জেলাভিত্তিক এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় উপস্থিত ছিলেন পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সভায় পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সিপাহীজলা জেলায় জনজীবন মিশনে কাজের অগ্রগতি নিয়ে খোঁজ খবর নেন। তিনি বলেন, রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মিশন মুডে কাজ চলছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে। পর্যালোচনা সভায় পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছানোর জন্য ২০১৯ সালে জল জীবন মিশনের সূচনা করেন। এই মিশনে রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছানোর জন্য লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য রাজ্য সরকার মিশন মুডে কাজ করছে। রাজ্যে এখন পর্যন্ত জলজীবন মিশনে ৩৫ শতাংশ বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সভায় তিনি পানীয় জল সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজের গুণগতমান বজায় রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পর্যালোচনা সভায় পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান মন্ত্রী জেলার ৭টি ব্লকের কিছু কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজগুলিতে আগামী দুই মাসের মধ্যে ১০০ শতাংশ বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেন। এই কাজ করতে গিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে ও কাজের গুণগতমান বজায় রাখার জন্য স্থানীয়স্তরের জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন মন্ত্রী।পর্যালোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ও সমাহর্তা বিশ্বশ্রী বি, জেলা পুলিশ সুপার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী, জিলা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতি ও বিএসি'র চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত জেলাশাসক ও সমাহর্তা, মহকুমা শাসকগণ, ব্লক আধিকারিকগণ, বিদ্যুৎ দপ্তর ও পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের মহকুমা স্তরের বাস্তুকারগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
১৯শে অক্টোবর ২০২১