Type Here to Get Search Results !

ঝাঁটা হাতে মন্দির চত্বর সাফাই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদীর, দিলেন পুজোও

নিজস্ব প্রতিনিধি,আরশিকথাঃ


চমক দিয়ে আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী মুর্মুর নাম রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিজেপি। আর এই ঘোষণার পরই বাড়ানো হল তাঁর নিরাপত্তা। এখন থেকে Z+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাবেন তিনি। মন্দিরে পুজো দিয়েই নিজের যাত্রা শুরু করলেন ঝাড়খণ্ডের এই নেত্রী। তবে শুধু পুজো দেওয়াই নয়, ঝাঁটা হাতে মন্দির চত্বর সাফাই করতেও দেখা গেল রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে। আগামী দিনে তিনিই দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হবেন কি না, তার উত্তর দেবে সময়। কিন্তু এই পদে প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পরও যে মাটির প্রতি একইরকম টান রয়েছে, তা বুঝিয়ে দিলেন দ্রৌপদী মুর্মু।  বুধবার সকালেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ময়ূরভঞ্জের রায়রাংপুরের জগন্নাথ মন্দিরে। সেখানে পুজো দেওয়ার পর চলে যান শিব মন্দিরে। সেই মন্দির চত্বরেই হাতে তুলে নেন ঝাঁটা। একেবারের বাড়ির সাধারণ মেয়ের মতোই সাফাই করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছে সেই মুহূর্তের ভিডিও। নেটিজেনদের প্রশংসাও কুড়িয়েছে আদিবাসী নেত্রীর সারল্য। মঙ্গলবার রাতে যখন জানতে পারেন বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম বেছে নেওয়া হয়েছে, বিশ্বাসই করতে পারেননি। দ্রৌপদী মুর্মুর কথায়, “সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছি। বিশ্বাসই করতে পারছি না এমনটা হয়েছে। এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ। পদে এলে সংবিধান মেনেই নিজের দায়িত্ব পালন করব।” ১৯৫৮ সালে ওড়িশার এক আদিবাসী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন দ্রৌপদী। প্রথমে পেশায় ছিলেন শিক্ষিকা। তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। রায়রাংপুরের জেলা বোর্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। এরপর দু’বার বিধায়কের আসনে বসেন। নবীন পট্টনায়কের মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন তিনি। এরপর ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসাবে গত বছর পর্যন্ত কাজ করেন মুর্মু। যদিও দ্রৌপদীর লড়াই কঠিন হতে চলেছে। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হেভিওয়েট যশবন্ত সিনহা। তবে মুর্মুও যে প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন, তা বলাই বাহুল্য।


আরশিকথা দেশ-বিদেশ


তথ্যসূত্র ও ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট

২২শে জুন ২০২২