বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও বিশ্ব বাজার গার্মেন্ট শিল্পে সে খুব সুন্দর আসন করে নিয়েছে। প্রতিটি বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে মেইড ইন বাংলাদেশ লেবেল দেখা মানে বাঙালি জাতি হিসেবে ভালো লাগার অনুভূতি দোলা দেয়।
বিশ্ব বিখ্যাত ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ওয়ালর্মাটর্, টাগটে, এইচএন্ডএম, জারা, কস্টকো, রসস্টোর, টিলিস বিক্রি করেছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক যা আমাদের জন্য গর্ব।
আর্ন্তজাতিক বাজারে বাংলাদেশের সুনাম আনছে এবং সামনের দিনগুলোতে এর সুনাম আরো বাড়বে, যদি আমাদের নতুন বাজারের দিকে আমরা একটু নজর দিতে পারি।
আমাদের বর্তমান বাজারকে ধরে রেখেই কিভাবে নতুন বাজার তৈরি করা যায় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। নতুন বাজারগুলো কি এবং কিভাবে আমরা সেই বাজারগুলোতে আমাদের দেশের পণ্যগুলোকে পৌঁছাতে পারি সেইজন্য কাজ করতে হবে। আমাদের বর্তমান বাজারগুলো হল- উত্তর আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো: দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশ, এবং রাশিয়ার কিছু অংশ।সেই দেশগুলোতে আমরা বর্তমানে রপ্তানি করছি বেশ ভালো এবং কিভাবে এই দেশগুলোতে আরও বাড়ানো যায় সেই জন্য আমাদের কাজ হবে।
পাশাপাশি আমাদের নতুন বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে আামাদেরকে কাজ করতে হবে।
প্রশ্ন হলো নতুন বাজারগুলো কি কি এবং কিভাবে ঐ বাজারগুলোতে আমাদের পণ্য পৌছানো যায়।
নতুন বাজারগুলো হতে পারে: দক্ষিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলো, রাশিয়ারপুরো দেশগুলো।জাপানে এবং অস্ট্রেলিয়ায় আমরা রপ্তানি করছি, কিন্তু এতটা না। চায়না ও ভারত আমাদের জন্য একটা বিশাল বাজার সৃষ্টি হতে পারে।চায়না ও ভারত আসলে নতুন বাজার সৃষ্টির তালিকায় যা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। অষ্ট্রেলিয়া এবং জাপানে আমরা রপ্তানি করছি কিন্তু ততোটা পরিমাণ করতে পারছি না। এখন বের করতে হবে কেন পারছি না এবং কিভাবে পারা যেতে পারে।
প্রতিটি নতুন বাজার মানে নতুন সম্ভাবনা। আমরা ওই দেশের ক্রেতা খোঁজার জন্য ঐ Business Index খুঁজতে পারি এবং গার্মেন্টস Business Index যারা আছে ওদের লিস্ট সংগ্রহ করতে পারি।সেই ক্ষেত্রে কিছু ওয়েব সাইটের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।নতুন দেশগুলোতে প্রমোশনাল এক্সবিশিনগুলোতে খোঁজ নেওয়া যেতে পারে।যারা যেই আইটেমগুলো তৈরি করি সেই আইটেমগুলোর ভাল করে এবং এক্রোসরিজ দিয়ে নতুন নতুন ডিজাইনের স্যাম্পল তৈরি করে তা ঐ দেশের ক্রেতাদের প্রেজেন্ট করতে হবে যাতে তাদের আকৃষ্ট করা যায়।
বালাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো কিছু এক্রিবিউশনে স্টল নেওয়ার ক্ষেত্রে সাপোর্ট দিয়ে থাকে, যা আমরা কাজে লাগাতে পারি।আমরা যে রকম নতুন ক্রেতা বা বাজার খুঁজছি ক্রেতারাও ঠিক ভালো সাপ্লায়ার খুঁজছে। যারা তাদের পণ্যগুলো সময় মতো ডেলিভারী দিয়ে এবং গুনগত মান ঠিক রেখে তাদেরকে সরবারাহ করতে পারবে। এই দুই যদি এক হয়ে যায় তাহলেই লক্ষ হাসিল।তারপর তা চালিয়ে যেতে হবে।ব্যবসাকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী, যদি সঠিকভাবে পোশাক সরবরাহ করা যায় তাহলে ক্রেতাই নতুন অর্ডার দিবে। আমাদের সৃষ্টিশীল মনোভাব নিয়ে নতুন স্টাইল এবং ডিজাইনে ক্রেতাদের কাছে সিজন অনুযায়ী এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পাঠাতে হবে। মুল্যের দিক থেকে কমপটিটিভ হতে হবে। তাহলেই আমরা লক্ষ অনুযায়ী টার্গেটে পৌছাতে পারব।
নতুন বাজার সৃষ্টির লক্ষে বাংলাদেশ সরকার ৩% ইনসেন্টিভ দিচ্ছে যেটা অবশ্যই উদ্যোক্তাদের জন্য বেশ উৎসাহজনক এবং সরকারের এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। তবে এটা যদি ৫% করা হয় তাহলে উদ্যোক্তা এবং গার্মেন্টস মালিকরা আরও বেশি উৎসাহের সাথে কাজ করতে পারবে এবং বাংলাদেশ ও নতুন রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে সামনের দিকে দৃঢ় গতিতে এগিয়ে যেতে পারবে।
মোহাম্মদ জহিরুল হক ভূঁইয়া ম্যানেজিং ডিরেক্টর(ডিজাইন গ্যালারি প্রা. লিমিটেড) সিইও (এ্যাপারল গ্যালারি) Email:Jahir@apparelgallerybd.com
মোহাম্মদ জহিরুল হক ভূঁইয়া ম্যানেজিং ডিরেক্টর(ডিজাইন গ্যালারি প্রা. লিমিটেড) সিইও (এ্যাপারল গ্যালারি) Email:Jahir@apparelgallerybd.com