কোন রাজ্যের উন্নয়নের সূচক সাধারণত স্বাস্থ্য, পরিষেবা, শিক্ষা, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এর উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়। ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরা এই সকল ক্ষেত্রগুলির উন্নয়নে দ্রুত গতিতে চলছে যার সুফলগুলি রাজ্যের গ্রাম-শহর সকল অংশের জনগণ উপভোগ করতে পারছেন। শুক্রবার টাউন হলে স্বাস্থ্য দপ্তরের পাঁচটি কর্মসূচির উদ্বোধন করে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। মুখ্যমন্ত্রী যে পাঁচটি কর্মসূচির উদ্বোধন করে সেগুলি হল, মুখ্যমন্ত্রী মিশন দৃষ্টি, আগরতলা পুর নিগমের এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে সাব সেন্টার স্থাপন, আশা কর্মীদের স্মার্টফোন প্রদান, এ এন এম কর্মীদের আনমোল ট্যাবলেট প্রদান এবং কিশোরী সুচিতা অভিযান।উদ্বোধনের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার গত তিন বছর ধরে জনগণের কল্যাণে যে সমস্ত কর্মসূচি রূপায়ণ করেছে সেগুলো মডেল ত্রিপুরা করার উদাহরণ হিসেবে স্থাপন করেছে। গত ৯ মার্চ বর্তমান সরকারের তিন বছর পূর্তিতে জনগনণের সামনে মডেল ত্রিপুরার ভিতগুলি তুলে ধরেছে। কারণ বর্তমান রাজ্য সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাজ্যকে হীরা বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকার তিন বছরের মধ্যে রাজ্যকে হীরা প্লাস বানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেখানো পথেই তা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন,রাজ্যের জনগণকে এখন বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার জন্য কোনো ধরনের আন্দোলন করতে হয় না।
অনুষ্ঠান মঞ্চে রাজ্যের নয়টি হাসপাতালকে সর্বোচ্চ আয়ুষ্মান কার্ড প্রদানকারীর নিরিখে পুরস্কৃত করা হয় । এছাড়াও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং হেলথ এন্ড ওয়েলনেস সেন্টারকে কায়াকল্প পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারস্বরূপ তাদের হাতে অভিজ্ঞান পত্র এবং অর্থ রাশির চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রীসহ অন্যান্য অতিথিরা। এছাড়াও অনুষ্ঠান মঞ্চে দুটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এ এন এম এবং সিএইচও'র হাতে আনমোল ট্যাবলেট, দুইজন আশা কর্মীর হাতে স্মার্টফোন এবং দুইজন সুবিধাভোগীর হাতে চশমা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এদিকে এদিনই সকালে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ধলেশ্বরে হেলথ হেলথ এন্ড ওয়েলনেস সেন্টারের উদ্বোধন করেন। সেসময় স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব জিতেন্দ্র কুমার সিনহাসহ স্বাস্থ্য দপ্তরের উন্নয়ন আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
১২ই মার্চ ২০২১