তন্ময় বনিক, আগরতলাঃ
বিগত আড়াই মাসে ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়। বর্তমান রাজ্য সরকার রাজনৈতিক জিঘাংসা চরিতার্থ করছে বিরোধীদের উপর। এটা ওদের শক্তি নয়, দুর্বলতা। কথাগুলি বলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। নয়া সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বিরোধী দলনেতা হিসেবে এই প্রথম প্রকাশ্যে দলীয় কোন কর্মসূচীতে ভাষণ দেন মানিক সরকার। তাই তিনি কি বলেন সেদিকে নজর ছিল রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের। শুক্রবার(২৫মে) আগরতলার ওরিয়েন্ট চৌমুহনীতে গণ-অবস্থান থেকে বেশকিছু দাবিদাওয়া নিয়ে জোরালো আওয়াজ উঠে। বিজেপি-আইপিএফটি এর ফ্যাসিস্ট আক্রমণ বন্ধ করা, গ্রাম পাহাড়ে কাজ ও খাদ্যের দাবিতে আইনের শাসনের পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা, দলীয় কার্যালয় ও শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়গুলি ধ্বংস করায় ক্ষতিপূরণ প্রদান, বন্যায় দুর্গতদের পর্যাপ্ত ত্রাণ ও পুনর্বাসনের দাবি উঠে এদিনের এই গণ-অবস্থান থেকে।
বিরোধী দলনেতা তার ভাষণে বলেন বর্তমানে গণতান্ত্রিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর আক্রমণ সংঘটিত করা হচ্ছে। রাজ্যে গত আড়াইমাসে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করেছে। বিজেপি'র ভিশন ডকুমেন্টের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমি ভোটের আগে ও পরে এটা বারবার পড়েছি। গণতন্ত্র,শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা হবে তা কোথাও বলা হয়নি। চলো পাল্টাই মানে রাজ্যে শান্তি সম্প্রীতি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশকে এখন পাল্টে দিয়েছে এরা। দলীয় কার্যালয়গুলি ভাঙার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ৪০-৪৫ বছরের পুরনো বাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। হতে পারে খাস জমিতে আছে। কিন্তু রাস্তা প্রশস্ত করা কিংবা কোন উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা নেই। তাহলে কেন দলীয় কার্যালয়গুলি ভাঙা হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি আরও বলেন, আমরা তো আক্রমণ-ধংসের কাজে যুক্ত ছিলাম না। তাহলে তো আমাদের দলকে স্বীকৃতিই দেওয়া হতো না। মানিকবাবু আরও বলেন, বিজেপি'র নিজেদের উপর আস্থা নেই। তাই এসব করছে। তিনি নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতিও বেশ কিছু অভিযোগ তোলেন।
এদিনের গণ-অবস্থানে মানিক সরকারের মতোই বিজেপি-আইপিএফটি কে তীব্র আক্রমণ করেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক তথা রাজ্যের বামফ্রন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিজন ধর। গণ-অবস্থানে এছাড়াও ছিলেন সাংসদ শংকর প্রসাদ দত্ত, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাদল চৌধুরী, রমা দাস, প্রাক্তন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, মানিক দে, বিধানসভার প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ পবিত্র কর, সিপিএমের মুখপাত্র গৌতম দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৫শে মে ২০১৮ইং
বিগত আড়াই মাসে ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়। বর্তমান রাজ্য সরকার রাজনৈতিক জিঘাংসা চরিতার্থ করছে বিরোধীদের উপর। এটা ওদের শক্তি নয়, দুর্বলতা। কথাগুলি বলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। নয়া সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বিরোধী দলনেতা হিসেবে এই প্রথম প্রকাশ্যে দলীয় কোন কর্মসূচীতে ভাষণ দেন মানিক সরকার। তাই তিনি কি বলেন সেদিকে নজর ছিল রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের। শুক্রবার(২৫মে) আগরতলার ওরিয়েন্ট চৌমুহনীতে গণ-অবস্থান থেকে বেশকিছু দাবিদাওয়া নিয়ে জোরালো আওয়াজ উঠে। বিজেপি-আইপিএফটি এর ফ্যাসিস্ট আক্রমণ বন্ধ করা, গ্রাম পাহাড়ে কাজ ও খাদ্যের দাবিতে আইনের শাসনের পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা, দলীয় কার্যালয় ও শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়গুলি ধ্বংস করায় ক্ষতিপূরণ প্রদান, বন্যায় দুর্গতদের পর্যাপ্ত ত্রাণ ও পুনর্বাসনের দাবি উঠে এদিনের এই গণ-অবস্থান থেকে।
বিরোধী দলনেতা তার ভাষণে বলেন বর্তমানে গণতান্ত্রিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর আক্রমণ সংঘটিত করা হচ্ছে। রাজ্যে গত আড়াইমাসে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করেছে। বিজেপি'র ভিশন ডকুমেন্টের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমি ভোটের আগে ও পরে এটা বারবার পড়েছি। গণতন্ত্র,শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা হবে তা কোথাও বলা হয়নি। চলো পাল্টাই মানে রাজ্যে শান্তি সম্প্রীতি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশকে এখন পাল্টে দিয়েছে এরা। দলীয় কার্যালয়গুলি ভাঙার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ৪০-৪৫ বছরের পুরনো বাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। হতে পারে খাস জমিতে আছে। কিন্তু রাস্তা প্রশস্ত করা কিংবা কোন উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা নেই। তাহলে কেন দলীয় কার্যালয়গুলি ভাঙা হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি আরও বলেন, আমরা তো আক্রমণ-ধংসের কাজে যুক্ত ছিলাম না। তাহলে তো আমাদের দলকে স্বীকৃতিই দেওয়া হতো না। মানিকবাবু আরও বলেন, বিজেপি'র নিজেদের উপর আস্থা নেই। তাই এসব করছে। তিনি নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতিও বেশ কিছু অভিযোগ তোলেন।
এদিনের গণ-অবস্থানে মানিক সরকারের মতোই বিজেপি-আইপিএফটি কে তীব্র আক্রমণ করেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক তথা রাজ্যের বামফ্রন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিজন ধর। গণ-অবস্থানে এছাড়াও ছিলেন সাংসদ শংকর প্রসাদ দত্ত, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাদল চৌধুরী, রমা দাস, প্রাক্তন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, মানিক দে, বিধানসভার প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ পবিত্র কর, সিপিএমের মুখপাত্র গৌতম দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৫শে মে ২০১৮ইং