Type Here to Get Search Results !

মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি'র ‌বিরুদ্ধে ‌দুর্নীতির অভিযোগ

ঢাকা ব্যুরো অফিসঃ বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে ঘিরে জেলার সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দুর্জয় এমপি ও তার ঘনিষ্ঠজনদের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি নিয়ে প্রকাশিত খবরা খবরই এখন আলোচনা সমালোচনার শীর্ষে রয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চায়ের দোকান সবত্রই চলছে আলোচনার ঝড়। পক্ষে বিপক্ষে বাদানুবাদও হচ্ছে অহরহ। এসব নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন দুর্জয় এমপি ও তার সমর্থকদের দ্বারা কোণঠাসা হওয়া নেতা-কর্মিরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। তারাই গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে দিচ্ছেন এমপি ও তার সহযোগিদের নানা অপকর্মের ফিরিস্তি। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে এমপি দুর্জয় তার পক্ষের ও বিতর্কিতদের নিয়ে গঠন করেছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের কমিটি। আর বাদ দিয়েছেন দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের। দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত দুর্জয় ও তার সহযোগিরা দলের তৃণমূল কমিটি গঠন করেছেন, অনুমোদন দিয়েছেন। সকল ক্ষেত্রেই উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিদের ছাড়াই এসব কমিটি গঠন করার অভিযোগ উঠেছে। বরং দলীয় নেতৃবৃন্দের পরিবর্তে কমিটি গঠনে এমপির প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভূমিকা রেখেছেন জেলা যুবলীগ নেতা ও দুর্জয়ের চাচাতো ভাই মাহবুবুর রহমান জনি। কাউন্সিল না করে এমপির নির্দেশে নিয়মিত কমিটি অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। কোনো কমিটি গঠনেই দলীয় সিদ্ধান্ত বা মতামতকে মূল্যায়ন করা হয়নি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বিএনপি’র অনুপ্রবেশকারী নেতাদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে এই অনুপ্রবেশকারীদের। এ নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ বিরাজ করলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। দুর্জয়ের আশীর্বাদে দলীয় পদ পদবী বাগিয়ে নেয়া নেতারা সটকে পড়ায় বঞ্চিত নেতা কর্মিরাই এখন মাঠে তৎপর হয়ে উঠেছেন। এদিকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরা খবরের সূত্র ধরেই দুর্জয় এমপি ও তার সহযোগিদের নানারকম দুর্নীতি লুটপাটের এন্তার তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। তার অন্যতম দুর্নীতির মধ্যে একটি হচ্ছে এবার আরিচা ঘাটের কাছে নদীর ভাঙ্গন ঠেকানোর নাম করে সরকারী টাকায় বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজার দিয়ে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে নিহালপুর এলাকায় পরিত্যক্ত খন্দকার ইটের ভাটায় মজুত করে এখন তা বিক্রি করছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। বিআইডব্লিউটিএ সাধারণ নাব্যতা সংকটের কারণে ড্রেজিং করে থাকে। কিন্ত এখানে এবার কোন নাব্যতা সংকট হয়নি। শুধু এমপির বালুর ব্যবসার জন্য এ ড্রেজিং করা হয়। যে কারণে এবার বর্ষা আসার আগেই আরিচায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এছাড়া আরিচায় বিআইডডব্লিউটিএর বিশাল টার্মিনাল দখল করেও দীর্ঘদিন ধরে বালুর ব্যবসা করছেন তিনি। আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে অবৈধভাবে স্পিডবোটের ব্যবসাটিও পরিচালিত হচ্ছে এমপি দুর্জয়ের নামে। এই লকডাউনের মধ্যে এমপির ছাত্রলীগ আরিচা ট্রলার ঘাটের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে নিয়ে নেয়। ছাত্রলীগ নৌকার মাঝিদেরকে ঘাট থেকে সরিয়ে দিয়ে তারা নিজেরা যাত্রীপ্রতি ৫শ টাকা করে ভাড়া নিয়ে যাত্রী পারাপার করেছে। এমপির চাচা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তায়েবুর রহমান টিপুর অত্যাচারে শিবালয় এলাকায় কেউ জমি কিনতে পারছেনা। কোন শিল্পপতি জমি কিনতে গেলেই তিনি প্রতি শতাংশে ৫ হাজার টাকা করে দাবী করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। শিবালয়ের আলোকদিয়ার চরে সোলার বিদ্যুৎ প্লান্টের কাজ থমকে গেছে এমপির জন্য। কারণ ওই প্লান্টের মাটি ভরাটের কাজে বাজার দরের চেয়ে অনেক বেশী টাকা দাবী করায় ওই কোম্পানি আর এগোয়নি।

মানিকগঞ্জের শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার সকল ধরনের ঠিকাদারী কাজ চলে দুর্জয়ের ইঙ্গিতে। তার নিয়ন্ত্রিত দল-উপদলের নেতাদের খুশি না করে সেখানে কোনরকম কর্মকান্ড চালানোর দু:সাহস রাখেন না ঠিকাদাররা। শুধু কী ঠিকাদারী? হাটবাজার ইজারা নেয়া, খেয়াঘাট বরাদ্দ পাওয়া, খাসজমি ইজারা পাওয়া থেকে শুরু করে ব্রিক ফিল্ডে মাটি সাপ্লাই দেয়ার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত চাঁদা পরিশোধ করে তবেই পা ফেলা যায়। মাটি খননের নিষিদ্ধ এসকেবিউটর ভেকু মেশিন চলে শতাধিক। হাজার হাজার একর সলি জমি মুহূর্তেই ধ্বংস কর দেয়া হচ্ছে। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্তেও ড্রেজিং চলছে অবিরাম। স্পীডবোট চলছে কাজীরহাট রুটে চরম ঝুঁকি নিয়ে। এসব ক্ষেত্রে কেবল এমপির নির্দেশনাকে পুজি করেই চালচ্ছে তারা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-১ সংসদীয় এলাকা। দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় এ আসনের সংসদ সদস্য। বিগত নির্বাচনের মনোনয়ন দৌড়ে এলাকার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাদের পেছনে ফেলে নৌকা প্রতীক পান এই ক্রিকেটার। বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। কিন্তু নির্বাচনের পর এলাকার গরিব মানুষের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার নামে টাকা আদায়সহ নানা খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ফলে খ্যাতিমান এ ক্রিকেটারের জনপ্রিয়তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। তাদের মতে, তিন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। টিআর, কাবিখা প্রকল্পের গম, চাল আত্মসাৎ, সোলার প্যানেলের বরাদ্দ নিয়ে হরিলুট হয়েছে। সরকারি এসব বরাদ্দ আত্মসাৎ করতে ভুয়া প্রকল্প দাখিল করা হয়। বাস্তবে কয়েকটি প্রকল্পে সরেজমিন দেখা গেছে, কোনো কাজই হয়নি। প্রকল্প চেয়ারম্যানদের কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাকি সব পকেটে পুরেছেন এমপির ঘনিষ্ঠরা। এসব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগও করা হয়েছে। এসব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চাকরিপ্রার্থীরা যাকে ঘুষ দিয়েছেন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন।’ তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে আলাদা কর্মকর্তা আছেন। তাদের দায়িত্বটা কি? এমপি হিসেবে আমার কাছে যেসব প্রকল্প আসে সেগুলোতে গুরুত্ব ভেবে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজ হচ্ছে, না লুটপাট হচ্ছে এসব দেখার দায়িত্ব প্রকল্প কর্মকর্তাদের।’ তিনি বলেন, যেসব বিষয়ে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে সেগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের নির্বাচনী এলাকার অসংখ্য বেকার যুবক বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরির আশায় সর্বস্ব খুইয়েছেন। তারা এমপি দুর্জয়ের পেছনে যেমন মাসের পর মাস ধর্ণা দিয়েছেন, চাকর বাকরের মতো ফুট ফরমায়েশ খেটেছেন তারপরও চাকরি নিশ্চিত করতে এমপি‘র ঘনিষ্ঠদের হাতে তুলে দিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। কিন্তু শেষমেষ তাদের কারোরই ভাগ্যে চাকরি জোটেনি, ফেরত পাননি টাকাগুলোও। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষজন চড়া সুদে আনা টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়ে প্রতি মাসে সুদ গুনতে বাধ্য হচ্ছেন। এমপির বাসভবনে চাকরির প্রলোভন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রতারণামূলক কান্ড থেকে দলীয় নেতা কর্মিরা পর্যন্ত রেহাই পাননি। মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের চরকাটারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক। দলীয় পদবি ব্যবহার করে কোথাও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেননি। টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজির সঙ্গেও জড়িত নন তিনি। অভাবী পরিবারের সন্তান আবু বকর সিদ্দিক স্বপ্ন দেখেন ছোট একটি চাকরির। কিন্তু চাকরি তো হয়ই-নি, উল্টো স্থানীয় সংসদ সদস্য দুর্জয়ের নামে তারই ভাগ্নে আব্বাস ঘুষ বাবদ হাতিয়ে নিয়েছেন ৫ লাখ টাকা। টাকা নিলেও তার চাকরি জোটেনি। টাকাও ফেরত দেয়া হয়নি। সেই টাকার বিপরীতে গত প্রায় আড়াই বছর ধরে সুদের ঘানি টানছে তার পরিবার। তিনি বলেন, ‘টাকা ফেরত না পেয়ে আমি এমপি সাহেবের (দুর্জয়) সঙ্গে গত মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকায় তার লালমাটিয়ার বাসায় দেখা করি। একপর্যায়ে তিনি আমাকে বললেন, আরও কিছুদিন ধৈর্য ধর। আবার সার্কুলার দিলে তোর চাকরি হয়ে যাবে।’ একই উপজেলার লাউতারা গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের এতিম ছেলে আবদুল আজিজও এমপি চক্রের নির্মম চাকরি বাণিজ্যের শিকার হয়েছেন। স্কুলে পিয়নের চাকরি নিতে তাকেও খোয়াতে হয়েছে ১৪ শতাংশ জমির ওপর গড়ে তোলা একটি গাছের বাগান এবং এনজিও থেকে নেয়া ঋণের পুরোটাই। এ প্রসঙ্গে আজিজ বলেন, ‘পিয়ন পদের জন্য ঘুষ বাবদ সব মিলিয়ে ৬ লাখ টাকা এমপির ঘনিষ্ঠ আব্বাসের কাছে পৌঁছে দেই। কিন্তু ভাগ্যে জোটেনি চাকরিটি, ফেরত পাননি টাকাও।’ উপরন্তু নানামুখি বিপদে পড়েছেন আব্দুল আজিজ। একদিকে এনজিও‘র কিস্তি বাবদ প্রতি সপ্তাহেই হাজার টাকা গুণতে হচ্ছে, অন্যদিকে ঋণ বাবদ পৌঁছাতে হচ্ছে চড়া সুদ। পরিবারের সদস্যদের মুখে দু‘বেলা দু’মুঠো খাবার তুলে দেয়াটাই যার জন্য কষ্টকর, তার মাথায় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে এমপি চক্রের ঘুষের ধকল। জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, শুধু দৌলতপুর উপজেলায়ই ১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাইট গার্ড কাম পিয়ন পদে নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে। শুধু চাকরি নয়, টিআর, কাবিখা ও সোলার প্যানেল বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির শেষ নেই। এলাকায় আছেন এমপির তিন ‘খলিফা’। যারা প্রতিটি বরাদ্দ থেকে পারসেন্টেজ আদায় করেন। দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের জনপ্রিয়তাকে গিলে খাচ্ছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তারা টাকা ছাড়া কোনো কাজ করেন না। নিয়োগ বাণিজ্য ও উন্নয়ন প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা চলে যাচ্ছে এমপি পরিবারের পকেটে। তিনি বলেন, এমপি দুর্জয়ের চাচা তায়েবুর রহমান টিপু, চাচাতো ভাই জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান জনি ও ছাত্রলীগ নেতা আব্বাসসহ কয়েকজনের হাতেই বন্দি এই নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন। তাদের দাপুটে প্রভাব ও স্বেচ্ছাচারিতার কাছে পুরনো আওয়ামী লীগ নেতারা কোণঠাসা হয়ে আছেন। নির্বাচনী এলাকার তিনটি উপজেলাতেই সরকারি সব প্রকল্প থেকে অগ্রিম ১০ পার্সেন্ট কমিশন আগাম বুঝিয়ে দেয়ার পরই এমপি‘র ডিও লেটার পাওয়া সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি দৌলতপুর উপজেলার চন্দ্রখোলা বিল খনন কাজের ৪০ লাখ টাকার প্রকল্প কাজের জন্যও তিনি আগাম ৪ লাখ টাকা আদায় করে নেন। চকমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২০ লাখ টাকা বরাদ্দের পুরোটাই আত্মসাৎ করার অভিযোগও উঠেছে এমপি দুর্জয়ের বিরুদ্ধে। এছাড়াও সমেতপুর পূর্ব ও পশ্চিম রাস্তা সংস্করণে টিআর কাবিখা প্রকল্পের মোট ৮ লাখ টাকার কাজ না করেই আত্মসাৎ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস ও এমপির পিএস আনোয়ার। বাঁচামারা নদীরক্ষায় জিও ব্যাগ বাবদ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাদ্দের ১ কোটি টাকার পুরোটাই এমপির তত্বাবধানে আত্মসাৎ করার ঘটনা ঘটেছে। দৌলতপুর মতিলাল ডিগ্রি কলেজকে সরকারি করণ বাবদ ১০ লাখ টাকা, পিএস উচ্চ বিদ্যালয় সরকারিকরণ বাবদ ১৫ লাখ টাকা নেন এমপি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতাধিক পদে লোক নিয়োগের নামে এমপি চক্রের বিরুদ্ধে খোলামেলা ঘুষ বাণিজ্য চালানোর গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

৬ই জুন ২০২০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.