থানায় বোমা বিস্ফোরণ, জঙ্গিরা ফের সক্রিয় বাংলাদেশে?

আরশি কথা

ঢাকা ব্যুরো অফিস,আরশিকথাঃ

বুধবার (২৯ জুলাই) ভোরে ঢাকার মিরপুরের পল্লবী থানায় তিন আসামিকে আনার পর তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ওজন মাপার যন্ত্র। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে বোমার কথা। এরপর নড়াচড়ার এক পর্যায়ে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। এতে গুরুতর আহত হন ৪ পুলিশ সদস্যসহ ৫ জন।
এতে নানা প্রশ্ন সামনে আসছে, অনেকেই বলছেন, আসামিরা বলার পরও পুলিশ কেন সতর্ক হলো না?
বিশ্লেষকরা বলছেন, পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া সাধারণ অপরাধীরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে না। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে আরও বেশি কৌশলী হওয়ার পরামর্শ তাদের ।
পল্লবী থানার ভেতরে বোমা বিস্ফোরণের পর এসব প্রশ্ন সামনে আসছে। এর পেছনে মদদদাতা কারা বা এমন নতুন কৌশলে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে জঙ্গিরা ফের সক্রিয় হচ্ছে কিনা, উঠছে সে প্রশ্নও।
দু'দিন আগে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে পাঠানো এক চিঠিতে সতর্ক করা হয় ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী কেউ হয়তো নাশকতার পরিকল্পনা করছে। পল্লবী থানার আসামিদের বয়সও এর সঙ্গে মিলে যায়। এ অবস্থায় থানার ভেতরে ওজন মাপা যন্ত্রের মধ্যে থাকা বোমার বিস্ফোরণ নতুন করে ভাবাচ্ছে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ বলেন, জঙ্গিরা কি ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে কিছু করছে কিনা এবং তাদের নতুন কোনো পৃষ্ঠপোষক এসেছে কিনা; এগুলো খতিয়ে দেখতে হবে।
এর আগে, বিচারককে উদ্দেশ্য করে বই বোমা ছুঁড়ে মারা বা টিফিন ক্যারিয়ারে করে বোমা ছুঁড়ে মারার ঘটনায় সরাসরি জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা থাকলেও, পুলিশের দাবি এবারের ঘটনায় জঙ্গি নয়, জড়িত সাধারণ সন্ত্রাসীরা।
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক শহীদুল হক বলেন, পল্লবী থানা হয়তো ভাবেনি এখানে বোম থাকতে পারে। জঙ্গিরা কি কৌশল নেয়, এবং কি কি কৌশল নিতে পারে- এটা পুলিশ সদস্যদের ধারণা নিতে হবে এবং তাদেরকে আরও কৌশলী হতে হবে।

২৯শে জুলাই ২০২০

3/related/default