আবু আলী, ঢাকা ॥
ঈদ-উল-আযহার ছুটিতে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৮৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৩৫৫ জন। সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ১৩৫।
২৪ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লইিসংবাদ সম্মেলনে এতথ্য তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লিটন এরশাদ।
বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ ও বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান আয়ুবুর রহমান খানসহ যুগ্ম মহাসচিব বেলায়েত হোসেন খান নান্টু। সভা পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মিরাজুল মইন জয়সহ মোঃ আবদুল আলীম, নাসিম রুমি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক একে আজাদ ও আবদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ আলম মিলন, সহ দপ্তর সম্পাদক সাফায়েত সাকিব, মেহরিন খান, নূরে আলম, শিউলী প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামীম আলম দীপেন।
প্রতিবেদনে জানান হয় গত ১০ আগষ্ট থেকে ১৮ আগষ্ট এই ৯ (নয়) দিনে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে যা এ বছরের ঈদ- উল ফিতরের তুলনায় কিছুটা বেশি বলে নিরাপদ সড়ক চাই'র পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। ঈদ-উল ফিতরে দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ১২৭, নিহত হন ১৮৪ জন এবং আহত হন ৩৩২জন। বিভিন্ন পত্রিকা, পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ, স্বতন্ত্র অনলাইন নিউজ পোর্টাল, সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশন চ্যানেলের তথ্য-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়।
নিসচার পর্যবেক্ষণে বলা হয়এ বছরের ঈদ- উল ফিতরে সড়কপথে ঈদযাত্রা ছিল যতটা স্বস্তিদায়ক ছিল ঈদ- উল আযহায় এসে সেই ঈদযাত্রা ভোগান্তিতে পরিণত হয়। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে ঈদযাত্রার মানুষদের বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়। লম্বা সময়জুড়ে সড়কে যানবাহনকে ঠায় বসে থাকার সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
তবে নৌপথে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াও ঈদযাত্রা ছিল অনেকটা স্বস্তিদায়ক বলে সংগঠনটির প্রতিবেদনে জানান হয়। নৌপথে বেশকিছু নতুন লঞ্চ বহরে যুক্ত হয়েছে, এবারও ঈদের আগের দিন সদরঘাট টার্মিনালে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। এসব বিষয়ে আগামীতে নজর দিলে নিসচা মনে করে নৌপথ আরও যাত্রীবান্ধব হয়ে উঠবে।
পাশাপাশি রেলপথেও বেশ কয়েক জোড়া নতুন ও বগি সংযুক্ত হলেও রেলপথে সিডিউল বিপর্যয় টিকিট কালোবাজারির কারণে যাত্রী হয়রানি বেড়েছে। অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে এবারও প্রযুক্তিগত সমস্যা ও সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে রেলের যাত্রীদের বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে সংগঠনটির প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয় সড়ক দুর্ঘটনার দিক দিয়ে ঈদ-উল ফিতরে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি থাকলেও এবার তা কমেছে সামান্য। বেড়েছে বাস দুর্ঘটনার সংখ্যা। একথা বলতেই হয় নিসচার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে এখনও সড়কে মোটর সাইকেল বিধ্বংসী বাহন হয়ে উঠেছে চালকের খেয়ালীপনাসহ নানা কারণে। সড়কে যখনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সমন্বিত উদ্যোগ চলছে তখন মোটর সাইকেলের দৌরাত্ম ও এর চালকদের বেপরোয়া হয়ে উঠায় ভাবতে হবে সকল মহলকে।