Type Here to Get Search Results !

এনআরসির বিষয়কে নজরে রাখছে বাংলাদেশ

আবু আলী, ঢাকা ॥
বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় অংশ নিতে বাংলাদেশে আসবেন বিশ্বনেতারা। বিশ্বনেতাদের তালিকায় রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন টুডো, আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, ভারতের কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি এবং জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন।
৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপ-কমিটির বৈঠক শেষে বিদেশমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নয়, তিনি সারাবিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে ছিলেন। তিনি শান্তির পক্ষে ছিলেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে গতিশীল এবং শান্তির বার্তাবাহক হিসেবে তুলে ধরতে চাই। ইতোমধ্যে আমরা তা প্রমাণ করেছি।
ভারতের নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বিদেশমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক বেশ উচ্চপর্যায়ে রয়েছে। আজকেও প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তা আমাদের জ্ঞাত, ধর্তব্যের মধ্যে আছে। প্রাথমিকভাবে এটা অভ্যন্তরীণ একটা বিষয়। এটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েও যাচ্ছে। ইনিশিয়ালি বেশ অস্থিরতার মধ্যে ছিল, আস্তে আস্তে সেটা কমে আসছে। আশা করি, এটা শান্তিপূর্ণভাবে তারাও ম্যানেজ করবে। এটার কারণে দুই দেশের অন্যান্য যে বিষয়গুলো আছে, সেসব যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সেটাও আমরা সবাই খেয়াল রাখব।
এ বছরের উল্লেখযোগ্য আয়োজনের মধ্যে মুজিববর্ষ উদযাপন কর্মসূচি সবচেয়ে বড় উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, সারাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের মিশনগুলোতে সারাবছর বিভিন্ন কার্যক্রম চলবে।
বিদেশ মন্ত্রণালয়ের কাজে গতিশীলতা আনতে সরকারের চিন্তা-ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম কীভাবে আরও গতিশীল করা যায়, বিদেশে যে মিশনগুলো আছে তাদের ওপর অর্পিত বিষয়গুলো আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে যেন ফল নিয়ে আসতে পারি, সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।
‘আগামীতে আমরা চাচ্ছি, এক টিমওয়ার্কের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়েও একটা ভালো টিম গড়ে উঠবে। একইভাবে আমাদের ৭০-৭৫টি মিশন আছে, তাদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ ও সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের কাজকে আরও গতিশীল করতে চাইছি।’
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগে আমরা কেবল দ্বিপাক্ষিক পথে হেঁটেছি। তারপর আমরা বহুপাক্ষিক পথে হাঁটা শুরু করেছি। সাম্প্রতিক সময়ে জবাবদিহি ও বিচারের পথও খুলছি। আমি মনে করি যে, যদিও বলা হচ্ছে এটা মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভ, কিন্তু প্রত্যেকটা প্রত্যেকটার কমপ্লিমেন্টারি। তারা যেন সসম্মানে ও স্বেচ্ছায় নিজ বাসভূমে ফিরতে পারে, এটা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, সেটা মাথায় রেখে সবগুলো পথ  তৈরির উদ্যোগ নেব আমরা। এটা আমাদের জন্য কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারও (আত্মবিশ্বাস তৈরির পদক্ষেপ) বটে। কনফিডেন্স বিল্ডিংয়ের কনটেক্সটে নানান ধরনের প্রক্রিয়া আছে। মিয়ানমার নানা ধরনের প্রক্রিয়া নিয়েছে, জাতিসংঘ নিয়েছে। প্রত্যেকটাই কিন্তু অ্যাকাউন্টেবিলিটি ফ্রন্টে ভূমিকা রাখবে।

৭ই জানুয়ারি ২০২০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.