Type Here to Get Search Results !

ঢাকায় যেসব মণ্ডপে কালীপুজো, উদ্বোধনে ভারতীয় হাইকমিশনার

প্রভাষ চৌধুরী, ঢাকা ব্যুরো এডিটর,আরশিকথাঃ দুর্গোৎসবের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব কালীপুজো। এ উৎসবটি শ্যামাপুজো নামেও পরিচিত। একই সঙ্গে আজ উদযাপিত হবে দীপাবলি উৎসব। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত কালীপুজো বা শ্যামাপুজো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। করোনাভাইরাস মহামারির দুর্যোগ মাথায় নিয়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার এ পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূরাণ মতে, কালী দেবী দুর্গারই আরেকটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপুজো হচ্ছে শক্তির পুজো। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে ‘শ্যামা’, ‘আদ্য মা’, ‘তারা মা’, ‘চামুন্ডি’, ‘ভদ্রকালী’, ‘দেবী মহামায়া’সহ বিভিন্ন নামে পরিচিত। কালীপুজোর দিন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। একে বলা হয় দীপাবলি। দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও গৃহে বা মণ্ডপে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পুজো করা হয়। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপুজো করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পুজো অনুষ্ঠিত হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পুজো অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামে শ্মশানকালী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন রামকৃষ্ণ মঠের সহঅধ্যক্ষ ও মিশনের সহসম্পাদক হরিপ্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, শনিবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এখানে পুজো আরম্ভ হবে। রাত ৩টায় পুস্পাঞ্জলি প্রদান এবং রাত ৪টায় হোম অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, স্বাস্থবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভক্তরা পুস্পাঞ্জলি প্রদান করবেন। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির কেন্দ্রীয় পুজো রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় শ্যামাপুজো উদযাপিত হবে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে। মহানগর সার্বজনীন পুজো কমিটির উদ্যোগে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় সহস্র প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে দীপাবলি উৎসব এবং রাতে শ্যামাপুজো অনুষ্ঠিত হবে। দীপাবলী উৎসবের উদ্বোধন করবেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। অন্যান্য মন্দিরের পূজা পোস্তগোলা জাতীয় মহাশ্মশান, তাঁতিবাজার, শাঁখারীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, পাঁচ শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী বনগ্রাম রাধা গোবিন্দ জিও মন্দির, জয়কালী মন্দির, রামসীতা মন্দির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, রমনা কালী মন্দির, রাজারবাগের বরদেশ্বরী কালীমন্দিরসহ বিভিন্ন পুজোমন্ডপে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে ফানুস ওড়ানো, প্রদীপ প্রজ্বালন, ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, আরতি ও প্রসাদ বিতরণ প্রভৃতি।


আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ

১৪ই নভেম্বর ২০২০
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.