প্রভাষ চৌধুরী, ঢাকা ব্যুরো এডিটর,আরশিকথাঃ
করোনাকালীন চিকিৎসাসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ভারতে ‘চিকিৎসারত্ন’ খেতাব পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই চিকিৎসক। দেশ-বিদেশের ১৩ চিকিৎসককে এ খেতাব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের দুই চিকিৎসক হলেন-ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও করোনা গবেষক মো. সালেহ মাহমুদ তুষার ও চট্টগ্রাম ফিল হাসপাতালের প্রধান উদ্যোক্তা ও নির্বাহী জনস্বাস্থ্য বিশেযজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় হোটেল সোনারতরীর হলরুমে চিকিৎসকদের হাতে এ পদক তুলে দেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ত্রিপুরা রাজ্যের টিভি চ্যানেল হেডলাইনস ত্রিপুরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
হেড লাইনস ত্রিপুরা টেলিভিশনের সম্পাদক প্রণব সরকার আরশি কথাকে বলেন, আমরা জেনেছি করোনাকালে বাংলাদেশে ডা. তুষার চার হাজার করোনা আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন। টেলিমেডিসিন থেকে শুরু করে প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে তিনি নিরলসভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সেই স্বীকৃতি স্বরুপ আমরা তাকে ‘চিকিৎসারত্ন’ খেতাব দিয়েছি। এছাড়া ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়াও করোনাকালে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। বাংলাদেশের এই দুই চিকিৎসককে সম্মাননা দিতে পেরে হেড লাইনস ত্রিপুরা পরিবার গর্বিত।
সম্মাননা প্রাপ্তদের অন্যরা হলেন-কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক কুণাল সরকার, ডা. অরুণা তাঁতি, ডা. শুভজ্যোতি ভৌমিক, ভেলোরের চিকিৎসক দেবাশিস দন্ড, দিল্লি ম্যাক্স হাসপাতালের চিকিৎসক কিশলয় দত্ত, হরিয়ানার চিকিৎসক জয়া দেববর্মণ, লন্ডনের চিকিৎসক ডি গোলাটি, ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ড. পর্ণালী ধর চৌধুরী, ত্রিপুরার বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রদীপ ভৌমিক, ডা. তপন মজুমদার ও ডা. সংগীতা চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কলকাতার প্রখ্যাত শিল্পী লোপা মুদ্রা, শান্তনু রায় চৌধুরী। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কলকাতার বিশিষ্ট সঞ্চালক তমালী ঘোষ। হেডলাইনস ত্রিপুরার সম্পদক প্রণব সরকার সভাপতিত্ব করেন।
দেশের বাইরে থেকে এরকম খেতাব পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে ডা. তুষার আরশি কথাকে বলেন, এটা অবশ্যই আনন্দের। আমি রোগীদের সেবা করতে ২৪ ঘণ্টাই প্রস্তুত। করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৪ হাজার রোগীকে আমি চিকিৎসা দিয়েছি প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে। মূলত দেশ মাটি ও মানুষের কাছে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই আমি এভাবে সেবা করার চেষ্টা করি। মানুষের জন্য আমার এ সেবা অব্যাহত থাকবে।