পাকিস্তানের গণহত্যার বিচার যে কোনো সময়ই হতে পারে: হাইকমিশনার
আরশি কথাফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২১
0
আবু আলী, ঢাকা, আরশিকথা ॥
একাত্তরে বাংলাদেশে পাকিস্তানি জান্তারা যে নারকীয় গণহত্যা চালিয়েছে তার বিচারের উদ্যোগ বাংলাদেশ যে কোনো সময়ই শুরু করতে পারে। এর জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বাধা নেই, ৫০ বছর পরও হতে পারে। আর বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৭৪ সালের ত্রিপীয় চুক্তি এই গণহত্যার বিচারে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
১৫ ফেব্র্রুয়ারি সোমবার জাতীয় প্রেসকাবে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিকাব আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এ তথ্য জানান।
ভারতের হাইকমিশনারের কাছে একজন কূটনৈতিক প্রতিবেদক প্রশ্ন রাখের যে পাকিস্তান একাত্তরে যে গণহত্যা চালিয়েছে, তা থেকে বাঁচার জন্য পাকিস্তান ১৯৭৪ সালের ত্রিপীয় চুক্তির কথা উল্লেখ করে, আপনি কী মনে করেন?
জবাবে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, ‘গণহত্যার বিচার যে কোনো সময়ই হতে পারে। এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বাধা নেই। ৫০ বছর পরও এই বিচার হতে পারে।’
তিনি আর বলেন, ‘১৯৭৪ সালের ত্রিপীয় চুক্তির অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল যে যেসব বাংলাদেশি নাগরিক পাকিস্তানের কারাগারে আটক ছিল, তাদের যাতে দ্রুত এবং সহজে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়।’
তিনি বলেন, ভারত সরকার পানি ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। সেই আগ্রহের কারণেই দুই দেশের মধ্যে ছয় নদী নিয়ে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির কাজ শুরু হয়েছে। তবে তিস্তা চুক্তি না হওয়া দুঃখজনক। ভারতের রাজ্য সরকারের আপত্তির কারণেই তিস্তা চুক্তি আটকে আছে। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি সুরাহার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
‘তিস্তা বিষয়ে সুরাহার জন্য ভারত সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। যে কারণে বিষয়টির মীমাংসা হচ্ছে না, আমি সেটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির জন্য ভারত সরকারকে আমাদের অভ্যন্তরীণ একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অনুমোদন নিতে হবে। সেই অনুমোদনের জন্য ভারত সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।’তিস্তার চুক্তির জন্য ভারতের রাজ্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। যার জন্য আমরা কাজ করছি। এটা খুবই দুঃখজনক যে রাজ্য সরকারের আপত্তির কারণে তিস্তা চুক্তি এখনো হচ্ছে না। তাই নরেন্দ্র মোদির আসন্ন সফরে তিস্তা বিষয়ক চুক্তি হবে কি না, সেটিও আমি এখনই বলতে পারছি না।