নতুন প্রজন্মের জন্য সুনিশ্চিত ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। সেই লক্ষ্যে আগামী ২৫ বছরের রূপরেখা স্থির করে কর্ম পরিকল্পনা রূপায়ণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর প্রজ্ঞাভবনে আয়োজিত 'ভিশন ২০৪৭-ত্রিপুরা' শীর্ষক দুদিনের কর্মশালার উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। প্রাথমিকভাবে ৬টি সূচক ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে তিন মাস আগে থেকে এই লক্ষ্যে রাজ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলি হলো যথাক্রমে প্রাথমিক ক্ষেত্র, সামাজিক ক্ষেত্র, শিল্প ও বিনিয়োগ, পরিকাঠামো, যোগাযোগ ও লজিস্টিক, পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন, গভর্ন্যান্স। পরিকল্পনা ও সমন্বয় দপ্তর এবং সেন্টার ফর গুড গভর্ন্যান্স, সিপা'র সমন্বয়ে এই এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়। রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। এই পর্যন্ত রূপায়িত বিভিন্ন কাজ পর্যালোচনা ও রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদদের পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে মন্ত্রিসভার সদস্যদের উপস্থিতিতে দু'দিনের কর্মসূচির আলোচ্য বিষয়বস্তু উত্থাপন করা হবে। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ তারিখে পূর্ণরাজ্য দিবসের ৫০তম বর্ষপূর্তির দিনে ‘ভিশন ২০৪৭-ত্রিপুরা" আনুষ্ঠানিক প্রকাশের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, গতানুগতিকতার উর্দ্ধে উঠে আধুনিকতার সাথে সাযুজ্য রেখে দ্রুততার সাথে নাগরিক পরিষেবা সুনিশ্চিতিকরণে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে রাজ্য সরকার। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির সব আধিকারিক ও পরিকল্পনা রূপায়ণের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের নিজেদের অভিজ্ঞতাকে বাস্তবের উপর ভিত্তি করে প্রয়োগের উপর মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পদ স্থায়ী হলেও কর্মক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পদে ব্যক্তির পরিবর্তন গতানুগতি ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ। নির্ধারিত কাজের বাইরে প্রতিদিন রাজ্যের উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে অন্তত এক ঘণ্টা করে এর জন্য ব্যয় করার আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের মাঝে আগামী ২৫ বছরের রূপরেখা স্থির করে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। গতানুগতিক নিয়মের গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ থাকার বদলে ন্যস্ত দায়িত্বের প্রতি উৎসাহ এবং অনুভূতি নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। তার পাশাপাশি এ বিষয়ে প্রতি মাসে অগ্রগতি শীর্ষক পর্যালোচনা বৈঠক করার লক্ষ্যে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ভবিষ্যতে রাজ্যকে আমরা কোথায় দেখতে চাই সেই লক্ষ্যে ২৫ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তথ্য মন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব কুমার অলক, প্রধান সচিব শ্রীরাম তরুনীকান্তি সহ রাজ্য সরকারের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ, বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদগণ উপস্থিত ছিলেন।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
১৭ই ডিসেম্বর ২০২১