অর্থ এবং পেশি শক্তির বলে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। পাশাপাশি একাংশ মিডিয়াকেও ব্যাবহার করেছে বিজেপি। বাম-কংগ্রেস জোটের পরাজয় নিয়ে এভাবেই মুখ খুললেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এবার ভোটে বিজেপি গতবারের তুলনায় অনেক কম ভোট পেয়েছে। ২০১৮ সালে বিজেপির ভোট ছিল ৫১ শতাংশ। আর এবার পেয়েছে ৪০ শতাংশ। এর অর্থ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, জনগণের আস্থা হারিয়েছে শাসকদল বিজেপি। ২০১৮ সালে তাদের আসন যেখানে ছিল ৪৪ টি, সেখানে ১১ টি কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ টি।
তিনি বলেন, বিরোধীরা ৬০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বিজেপি কম ভোট পেয়েই বেশি আসনে ক্ষমতায় ফিরেছে। এর জন্যা তিনি বিরোধী ভোট ভাগকে দায়ী করেছেন। তিনি তিপ্রা মথার নাম না করেই মহারাজকে খোঁচা দিয়েছেন। তিনি বলেন, অনেকের মুখে বিজেপির বিরোধী সুর থাকলেও পক্ষান্তরে তারা বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাত করেই ভোটে লড়েছেন। উল্লেখ্য, ১৬ ফেব্রুয়ারি সম্পূর্ণ সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৩ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোট গণনার একদিন আগেও সিপিআইএম এর নেতাদের মুখে কোন ধরনের অভিযোগ শোনা যায়নি। ভোট গণনার দিন দুপুর ১২ টা পর্যন্ত জয় নিয়ে আশাবাদী ছিলেন বাম নেতারা। কিন্তু গণনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর দেখা গেছে শাসকদল বিজেপি পুনরায় ক্ষমতায় ফিরেছে। এরপরেই সুর পাল্টাতে শুরু করে বিরোধী শিবির। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগে সরব হয়েছেন টানা পাঁচবারের মুখ্যিমন্ত্রী মানিক সরকার।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৬ই মার্চ ২০২৩