জাপানি সামুদ্রিক খাবারের উপর সম্ভাব্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চীন সরকারের কাছে নিজেদের উদ্বেগ তুলে ধরেছে জাপান।বেইজিং’এর কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা দাইইচি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরিশোধিত ও পাতলা করে নেয়া পানি সমুদ্রে ছাড়ার জাপানি পরিকল্পনার আলোকে তারা এই পদক্ষেপ নিতে পারেন।
এদিকে, জাপানের সামুদ্রিক খাবার যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে নিরাপদ, তার উপর গুরুত্বারোপের জন্য কাজ করে যাচ্ছে জাপানি পক্ষ। তবে বর্তমানে চীনে কিছু জাপানি পণ্যের শুল্ক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক রকমের বেশি সময় নেয়া হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি মাৎসুনো হিরোকাযু বলেন, সব পণ্যের উপর বিস্তৃত তেজস্ক্রিয়তা সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা জাপানি খাদ্যপণ্য থেকে বিধিনিষেধ শিথিল বা তুলে নেয়ার বৈশ্বিক প্রবণতার বিরুদ্ধে যাবে।মাৎসুনো এও বলেন যে, কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি যথাযথভাবে সামাল দিতে বেইজিং’এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাপান।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের মার্চ মাসে আঘাত হানা মহাভূমিকম্প ও তৎপরবর্তী সুনামিতে ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি চুল্লিতেই জ্বালানি গলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।এই পরমাণু জ্বালানি শীতল করার জন্য ব্যবহৃত পানি বৃষ্টি এবং ভূগর্ভস্থ পানির সাথে মিশে যায়। আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জমাকৃত এই পানি থেকে পরিশোধনের মাধ্যমে অধিকাংশ তেজস্ক্রিয় পদার্থ সরিয়ে নেয়া হলেও ট্রিটিয়াম এখনও রয়ে গেছে।
এদিকে, ট্রিটিয়ামের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত সুপেয় জলের নিরাপত্তা মানের প্রায় এক-সপ্তমাংশে নামিয়ে আনার জন্য এই পানিকে পাতলা করে নেয়ার পরিকল্পনা করছে জাপান সরকার।জাপান সরকারের ভাষ্যানুযায়ী, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার একটি প্রতিবেদনে দেখা যায় যে সমুদ্রে এই পানি ছাড়ার পদক্ষেপটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
তথ্য ও ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
২৩ জুলাই ২০২৩