আরশিকথা ডেস্কঃ
গত ১৫ জুন ধর্মনগর থেকে আগরতলাগামী ট্রেনের হাজার হাজার যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন স্বপন দেববর্মা এবং তার মেয়ে সুমতি দেববর্মা। বড়মুড়া পাহাড়ের পাদদেশে দারিদ্রের মধ্যে জীবনযাপন করতে থাকা এই স্বপন দেববর্মা এবং তার মেয়ে সুমতি দেববর্মা এখন ঈশ্বরতুল্য। বৃহস্পতিবার(২১জুন) বিধানসভায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ এই বিষয়টি উত্থাপন করলে প্রত্যেকেই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
অভিনন্দনও জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই। বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন স্বপন দেববর্মার দারিদ্রতা দূর করার জন্য স্থায়ীভাবে রোজগারের বন্দোবস্ত করার পক্ষে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে এদিন বিধানসভাতে মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া স্বপন দেববর্মাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
এদিকে ব্যতিক্রমী নজির গড়লেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ। শুধু বাড়িতে নিয়ে বাহবাই দিলেন না নিজের হাতে খাইয়েও দিলেন তাদের। প্রসঙ্গত, ১৫ জুন অকুতভয় ছোট্ট মেয়ে সুমতি দেববর্মা তার বাবা স্বপন দেববর্মার সঙ্গে ট্রেন লাইনের উপর দাঁড়িয়ে জীবন বাঁচিয়েছিলো কয়েক হাজার যাত্রীর। সেদিন ধর্মনগর থেকে আগরতলাগামী ট্রেনটিকে নিশ্চিত দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচিয়ে নিয়েছিলো এরা।
তথ্যঋণঃ দীপক দে, আগরতলা
অতিথি সাংবাদিক, আরশি কথা
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ২১শে জুন ২০১৮ইং