তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
চতুর্দশীতেই তর্পণ সারলেন অগণিত মানুষ। মহালয়ার পুণ্যলগ্নে তর্পণের পরম্পরা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। ভোর থেকেই পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ শুরু হয়।
এবছরও এই রীতি বজায় থাকলো। তবে এবছর অমাবস্যা তিথি অর্থাৎ মহালয়ার পুণ্যলগ্নের আগেই তর্পণ সারলেন অসংখ্য মানুষ। পঞ্জিকা মতে সোমবার(৮অক্টোবর) সকাল ১০টা ৫০মিনিটে অমাবস্যা তিথি শুরু। কিন্তু তিথির অপেক্ষা না করে ভোর থেকেই বিভিন্ন ঘাটে তর্পণ শুরু হয়ে যায়।
আগরতলায় লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের ঘাটে ভোর থেকেই দেখা যায় তর্পণের উদ্দেশ্যে মানুষ জড়ো হচ্ছেন। জনৈক পুরোহিত বলেন, এখন ব্যস্ততার যুগ। মানুষ বলছেন বেলা ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে এমনকি উপোষ থাকতে পারবেন না। তাই তাদের অনুরোধে তর্পণ করাচ্ছেন। শুধু লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের ঘাটেই নয়, হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটেও ভোর থেকে তর্পণ করতে দেখা যায় অসংখ্য মানুষকে।
এবছর মহালয়ার পুণ্য প্রভাতে আগরতলায় বিভিন্ন কর্মসূচী উদযাপিত হয়। অন্যান্য বারের মতো এবছরও র্যালি করে আরএসএস।
কোনও কোনও রাজ্যে বিজয়া দশমী কিংবা পয়লা বৈশাখে এই র্যালি হয়ে থাকে। আগরতলায় তা হয় মহালয়ার পুণ্যলগ্নে। স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান থেকে র্যালির সূচনা হয়।
তাতে শিশু থেকে প্রবীণ আরএসএস কর্মীদেরও অংশ নিতে দেখা যায়। র্যালিটি শহর আগরতলার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।
এদিকে রেনেসাঁ নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে শারদোৎসবকে সামনে রেখে মহালয়ার প্রভাতে এক শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় আগরতলায়। কচিকাঁচারা বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে এই প্রভাতফেরীতে অংশ নেয়। এরপর মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ের স্কুলে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সৃজন" নামে আরও একটি সংস্থার উদ্যোগে এদিন সকালে মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান হয় মাতঙ্গিনী প্রীতিলতা হলে।
এছাড়াও শারদোৎসবকে সামনে রেখে মহালয়ার পুণ্য প্রভাতে আগরতলা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে অনুষ্ঠান হয়। বিভিন্ন ক্লাব ও সামাজিক সংস্থাগুলির উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠান হয়েছে।
ছবিঃ সংগৃহীত
৮ই অক্টোবর ২০১৮ইং
চতুর্দশীতেই তর্পণ সারলেন অগণিত মানুষ। মহালয়ার পুণ্যলগ্নে তর্পণের পরম্পরা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। ভোর থেকেই পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ শুরু হয়।
এবছরও এই রীতি বজায় থাকলো। তবে এবছর অমাবস্যা তিথি অর্থাৎ মহালয়ার পুণ্যলগ্নের আগেই তর্পণ সারলেন অসংখ্য মানুষ। পঞ্জিকা মতে সোমবার(৮অক্টোবর) সকাল ১০টা ৫০মিনিটে অমাবস্যা তিথি শুরু। কিন্তু তিথির অপেক্ষা না করে ভোর থেকেই বিভিন্ন ঘাটে তর্পণ শুরু হয়ে যায়।
আগরতলায় লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের ঘাটে ভোর থেকেই দেখা যায় তর্পণের উদ্দেশ্যে মানুষ জড়ো হচ্ছেন। জনৈক পুরোহিত বলেন, এখন ব্যস্ততার যুগ। মানুষ বলছেন বেলা ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে এমনকি উপোষ থাকতে পারবেন না। তাই তাদের অনুরোধে তর্পণ করাচ্ছেন। শুধু লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের ঘাটেই নয়, হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটেও ভোর থেকে তর্পণ করতে দেখা যায় অসংখ্য মানুষকে।
এবছর মহালয়ার পুণ্য প্রভাতে আগরতলায় বিভিন্ন কর্মসূচী উদযাপিত হয়। অন্যান্য বারের মতো এবছরও র্যালি করে আরএসএস।
কোনও কোনও রাজ্যে বিজয়া দশমী কিংবা পয়লা বৈশাখে এই র্যালি হয়ে থাকে। আগরতলায় তা হয় মহালয়ার পুণ্যলগ্নে। স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান থেকে র্যালির সূচনা হয়।
তাতে শিশু থেকে প্রবীণ আরএসএস কর্মীদেরও অংশ নিতে দেখা যায়। র্যালিটি শহর আগরতলার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।
এদিকে রেনেসাঁ নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে শারদোৎসবকে সামনে রেখে মহালয়ার প্রভাতে এক শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় আগরতলায়। কচিকাঁচারা বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে এই প্রভাতফেরীতে অংশ নেয়। এরপর মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ের স্কুলে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সৃজন" নামে আরও একটি সংস্থার উদ্যোগে এদিন সকালে মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান হয় মাতঙ্গিনী প্রীতিলতা হলে।
অনুষ্ঠানে শিশু শিল্পীদের পরিবেশনা দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে তোলে। প্রতি বছরই মহালয়ার প্রভাতে এধরণের অনুষ্ঠান করে থাকে 'সৃজন'।
এবছর তাদের ২২তম অনুষ্ঠান ঘিরে বেশ সাড়া পরিলক্ষিত হয়। এছাড়াও শারদোৎসবকে সামনে রেখে মহালয়ার পুণ্য প্রভাতে আগরতলা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে অনুষ্ঠান হয়। বিভিন্ন ক্লাব ও সামাজিক সংস্থাগুলির উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠান হয়েছে।
ছবিঃ সংগৃহীত
৮ই অক্টোবর ২০১৮ইং