Type Here to Get Search Results !

বাঙ্গালিয়ানার মিষ্টি অনুভব “ খেজুর রস “

শীত মানেই একটা অন্যরকমের আমেজ। একটা আলাদা অনুভূতির সকাল দুপুর। বিশেষ করে বাঙ্গালী মনে শীতের আগমনকে ঘিরে প্রচুর কল্পনার রসদ জন্ম নেয়। আশ্বিনের মাঝামাঝি সময় থেকেই হাল্কা কুয়াশায় শীতের আগমন বার্তা মেলে। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই চোখে পড়ে সবুজ ঘাসের গালিচায় ফোঁটা ফোঁটা শিশির বিন্দু। বৃক্ষ থেকে জীব , সবকিছু থেকে মানুষ - এই পৃথিবীর যেখানেই প্রাণের সঞ্চার রয়েছে সেখানেই শীত তার শীতল স্পর্শে সবার অনুভবে শিহরণ জাগিয়ে অস্তিত্ব জানান দেয়। শীতের পরিবারে কুয়াশা, ঠাণ্ডা হাওয়া,উত্তাপের উপকরণ,হাঁড়ে হিম ধরা,ধূমায়িত চা বা কফির পেয়ালা অথবা ভোরবিমুখ মন যাই নথিভুক্ত থাকুক না কেন আর একটি স্মৃতিবিজড়িত বিষয় কিন্তু মনের ভেতর জাপটে থাকা অবস্থায় আবিষ্কৃত হয় কোন শীতানুভবে বিশেষ করে গ্রামবাংলার চিত্রে স্বাদ্গ্রন্থিকে চঞ্চল করা সেই উপাদানটির নাম " খেজুরের রস " শীতের প্রবেশেই গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে গাছিরা সেই রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ঐ মধুরস সংগ্রহ করার পূর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী শীতের আগমনী বার্তা পাওয়ার সাথে সাথেই গাছ কেটে ছেঁটে পরিস্কার করতে উঠে পড়ে লাগে সবাই। যত শীত বাড়তে থাকে ততই ব্যস্ততা বাড়ে গাছিদের। 
 কুয়াশার চাঁদরে মোড়া অথবা শীতের আমেজে কুঁকড়ে থাকা কোন সকালে শহরের গলিপথ বা গ্রামীণ মেঠো পথে মৃদু হাঁক দিয়ে সেই মধুরস নিয়ে পথচলা ফেরিওয়ালাদের জন্য আজও বাঙ্গালিয়ানার পথ চাওয়া সে এক অমলিন সুখানুভূতি। বিষয়টি শুধুমাত্র রসের আস্বাদনেই থেমে থাকেনা। সেই রস থেকে জন্ম নেওয়া গুড়, পিঠে,পায়েস সব কিছুতেই বাঙ্গালিয়ানায় ধুম পড়ে যায়। শীতের পরিবারভুক্ত এই রস প্রচুর খনিজ ও পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ। প্রকৃতিপ্রেমিক এবং গ্রামবাংলার কবি জীবনানন্দ থেকে শুরু করে বহু কবি অনুভবেই এই মধুবৃক্ষের রস কল্পনার প্রসারে সফলতা লাভ করে স্থান করে নিয়েছে সাহিত্যের আঙ্গিনায়  বিশেষ করে বাঙ্গালী মনে " খেজুরের রস " একটি অনবদ্য তৃপ্তির উপকরণে অমর থাকবে চিরকাল।


এডিটর কলাম

ছবিঋণঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট

৬ই জানুয়ারি ২০১৯ইং

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.