প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোর লক্ষ্যে শিক্ষার্থীর শিখনস্তর উন্নয়ন অভিযান শুরু করেছে রাজ্য সরকার। রবিবার ( ৩ মার্চ ) একযোগে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলগুলিতে শিক্ষক-অভিভাবক সম্মেলন হয়।
একাধিক স্কুলে এদিন উপস্থিত ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ও শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন মহারাণী তুলসিবতী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-অভিভাবক সম্মেলনে যান। প্রধান শিক্ষিকার কাছে তিনি জানতে চান গত বছর শিক্ষক-অভিভাবক সম্মেলনে কতজন অভিভাবক ছিলেন। প্রধান শিক্ষিকার উত্তরে তিনি জানতে পারেন প্রায় ৫০শতাংশ অভিভাভক গত বছর উপস্থিত ছিলেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রী এর সত্যতা যাচাইয়ে উপস্থিত অভিভাবকদের মধ্যে যারা গত বছর শিক্ষক-অভিভাবক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তাদের হাত তুলতে বলেন। দেখা যায় উপস্থিত প্রায় চারশো জন অভিভাবকের মধ্যে ১২ থেকে ১৫ জন হাত তুলেছেন। তাতেই মুখ্যমন্ত্রী সব বুঝে যান। তিনি তার বক্তব্যে শিক্ষার গুণগত মানের উপর গুরুত্ব দেন। শিক্ষার গুণগত মানের দিক থেকে ত্রিপুরাকে দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। গুরুত্ব দেন প্রথম শ্রেণী থেকেই গুড ম্যানার শেখানোর উপর। বলেন - কোয়ান্টিটি নয় কোয়ালিটি এডুকেশন চাই। রবিবার ৩ মার্চ দিনটির কথাও বলতে ভোলেননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা ও ত্রিপুরাবাসীর জন্য ৩ মার্চ দিনটি ঐতিহাসিক। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের জীবনেও ঐতিহাসিক। গত বছর এই দিনটিতেই ত্রিপুরায় পরিবর্তন এসেছিলো।
রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলগুলিতে একযোগে এদিন শিক্ষার গুণগত মানের লক্ষ্যে শিক্ষক-অভিভাবক সম্মেলন হয়। শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ এর নির্দেশে বিভিন্ন স্কুলগুলিতে এই কর্মসূচী পালন করা হয়। রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলগুলি ঘুরে দেখা যায় অভিভাবকদের উপস্থিতির হার বেশ ভালোই। এদিকে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ যান শিশুবিহার ও উমাকান্ত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। কথা বলেন, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে। গুণগত মানের শিক্ষার ক্ষেত্রে কোথায় কী সমস্যা রয়েছে, স্কুলের কাজকর্ম ঠিকভাবে চলছে কিনা, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কী রকম - এসমস্ত বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ নেন শিক্ষামন্ত্রী। অভিভাবকদের কাছ থেকেও স্কুলের পঠন পাঠন সম্পর্কে খোঁজ নেন।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৩রা মার্চ ২০১৯ইং