আবু আলী,আসাম থেকে :
বাণিজ্য বাড়াতে কোনও ধরণের কৃপণতা করা হবে না। এ ক্ষেত্রে সব ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ভারতের সেভেন সিস্টার আমাদের সব চেয়ে কাছের। ভারতের মূল ভূখ- থেকে সেভেন সিস্টারে পণ্য আনা নেওয়া কষ্টসাধ্য এবং ব্যয় বহুল। এজন্য সেভেন সিস্টার বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য একটি বড় বাজার। রাজধানী গুয়াহাটিতে ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ স্টেক হোল্ডার মিটে’ যোগদানের প্রাক্কালে ২১ অক্টোবর একান্ত সাক্ষাতকারে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি এসব মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘স্টেক হোল্ডার মিটে’ উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে। বাংলাদেশের কোন কোন পণ্য এখানে চাহিদা রয়েছে সেগুলো বিহ্নিত করা হবে। এখানে গার্মেন্টস, সিমেন্টসহ বেশ কিছু ভোগ্য পণ্যের চাহিদা রয়েছে। পণ্য রপ্তানিতে ট্যারিফ-নন ট্যারিফ বাধাগুলো দূর করা হবে। এছাড়াও সড়কের পাশাপাশি নৌ-পথকে কিভাবে আরও গতিশীল করা যায় সেবিষয়ে উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নদীর নাব্যতা দূর করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেভেন সিস্টারে রপ্তানির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বসে নাই। এখানে গার্মেন্টস পণ্যের বিশাল চাহিদা রয়েছে। এ বিষয়ের উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
প্রসঙ্গত, আজ দু’দিনব্যাপী ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ স্টেক হোল্ডার মিট শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীসহ শতাধিক প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেন।
২১শে অক্টোবর ২০১৯
২১শে অক্টোবর ২০১৯