ঢাকা ব্যুরো এডিটর:
দশম শ্রেণির ছাত্রীর (১৪) সঙ্গে বাল্যবিয়ে শেষ হয় সাবিত হোসেনের (২১)। এবার বউকে নিয়ে ঘরে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সবাই। ঠিক তখন বিয়ে বাড়িতে হাজির সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল চন্দ্র শীল। তার উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বর সাবিত হোসেনকে (২১) আটক করা হয়।
এ সময় বাল্যবিয়ের দায় স্বীকার করায় কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজল চন্দ্র শীল। এরপর তাকে ফরিদপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে, প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত ছেলে ও মেয়ে একসঙ্গে থাকতে পারবে না মর্মে স্কুলছাত্রীর চাচার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভাসানচর ইউনিয়নের মধুমঙ্গলের ডাঙ্গিগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, প্রশাসন যেন বুঝতে না পারে সেকারণে দিনের পরিবর্তে রাতে বাল্যবিয়ের আয়োজন করে উভয় পরিবার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে বরযাত্রীদের নিয়ে বিয়ে করতে আসেন সদরপুর উপজেলার ভাসানচর ইউনিয়নের মধুমঙ্গলের ডাঙ্গিগ্রামের আব্দুর রবের ছেলে সাবিত হোসেন। দ্রুত বিয়ের কার্যও সম্পন্ন করে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতির সময় হাজির হন সদরপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি)। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করেন বর। এ সময় তাকে আটক করে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সদরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজল চন্দ্র শীল আরশি কথাকে বলেন, বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে আমরা যখন ওই বাড়িতে পৌঁছাই, তখন বিয়ে হয়ে গেছে। কাবিননামাও সম্পন্ন হয়েছে বলে বর-কনের অভিভাবকরা দাবি করলেও তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। কাজীকেও খুঁজে পাইনি। কাজী পালিয়েছেন। আমরা বাল্যবিয়ের দায়ে বর সাবিত হোসেনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছি। আর বিয়ে যেহেতু হয়ে গেছে, তাই মেয়ের বাবা না থাকায় তার চাচার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়েছি। মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠানো যাবে না। এবং বর-কনে এক জায়গায় থাকতে পারবে না।
২৯শে নভেম্বর ২০১৯
২৯শে নভেম্বর ২০১৯