এবছর টিবিএসই পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক ছাত্রছাত্রী কৃতীদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে ২৪জন।
প্রথম হয় নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের দীপায়ন দেবনাথ।শুক্রবার (৩ জুলাই) ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনা পর্ষদ সভাপতি ভবতোষ সাহা ফলাফল ঘোষণা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ কৃতীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
প্রথম স্থানাধিকারী দীপায়ন দেবনাথের মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮ । যুগ্মভাবে দ্বিতীয় হয় শঙ্করাচার্য বিদ্যায়তন গার্লস স্কুলের মেঘা শর্মা,রেশম বাগান এইচ এস স্কুলের তৃষাশ্রী দেওয়ান ও শিশুবিহার স্কুলের অভিরাজ পাল।তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭ । যুগ্মভাবে তৃতীয় স্থান দখল করে চারজন ছাত্রছাত্রী।এরা হলো উদয়পুর ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অলদ্রিন রায়,অমরপুর ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের যশরাজ দাস,শিশুবিহার স্কুলের দেবাদৃতা পাল ও শঙ্করাচার্য বিদ্যায়তন গার্লস এর মেধা শর্মা । তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৩ । এবছর চতুর্থ স্থান অধিকার করে গোমতী জেলার বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ এর বর্ণালী দেবনাথ ও নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের দীপাঞ্জন দেব সরকার।তাদের মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৮২ । ৪৮১ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে পঞ্চম স্থান অর্জন করে বৃন্তক শিক্ষা নিকেতনের মন্দিরা বৈদ্য,বি বি ইনস্টিটিউশানের শিলাজিত দেব ও শিশুবিহারের উদয় শঙ্কর পাল।ষষ্ঠ স্থান অর্জন করে ঊনকোটি জেলার নেতাজী বিদ্যাপীঠ (ই এম) এইচ এস স্কুলের রাজদীপ পাল।তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮০ । সপ্তম স্থান অর্জন করে গোমতী জেলার বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের সঞ্চন পাল,পানিসাগর হলিক্রস স্কুলের সৌরদীপ দেবনাথ ও উমাকান্ত একাডেমি ইংরেজি মাধ্যমের স্বর্ণব সাহা।তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৭৯ । অষ্টম স্থানাধিকারী কৃতিরা হলো গোল্ডেন ভ্যালি এইচ এস স্কুলের নবোদিত দাস,নর্থ পয়েন্ট স্কুলের শিবম দে,নতুন নগর গার্লস স্কুলের সুকন্যা দত্ত ও শিশুনিকেতন এইচ এস স্কুলের দীপক রুদ্র পাল।তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৭৮ । ৪৭৭ পেয়ে নবম স্থান অর্জন করে বি বি ইনস্টিটিউশানের গ্রন্থিক চক্রবর্তী ও শিশুনিকেতন এইচ এস এর অনন্যা দেবনাথ।৪৭৬ নম্বর পেয়ে দশম হয় নেতাজী বিদ্যাপীঠ (ই এম) এইচ এস স্কুলের হৃষভ ভট্টাচার্য।এবছর রেগুলার পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পাশের হার ৬৯.৪৯ শতাংশ।জেলা স্তরে গোমতীতে সর্বোচ্চ পাশের হার ৭৭.৪৬ শতাংশ।আর সর্বনিম্ন ধলাইতে পাশের হার মাত্র ৫২.৯২ শতাংশ।এবছর ৫টি স্কুলের কোনও ছাত্রছাত্রী পাশ করতে পারেনি।অপরদিকে ৮০টি স্কুলের একশো শতাংশ ছাত্রছাত্রী পাশ।জনজাতিদের মধ্যে পাশের হার ৫৮.৩৭ শতাংশ।এডিসি এলাকাভুক্ত বিদ্যালয়গুলিতে পাশের হার ৫৮.৫৬ শতাংশ।পর্ষদ সভাপতি জানান,যদি কোনও ছাত্রছাত্রী উত্তরপত্র পুনঃ মূল্যায়ন করায় তাহলে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে।পর্ষদ সভাপতি শ্রী সাহা আরও জানান,২০১৭ সালের পর থেকে মাধ্যমিকে পাশের হার ক্রমশ বাড়ছে।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ এবং সংগৃহীত
আরশিকথা
৩রা জুলাই ২০২০