৩৯ তম আগরতলা বইমেলার থিম " আমাদের ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা " । এবারের বইমেলায় থাকছে বেশ কিছু নতুনত্ব।উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৮টি রাজ্য থেকেই আসছে সাংস্কৃতিক দল।বিভিন্ন বয়সী শ্রোতাদের জন্য থাকছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত,ফোক,ব্যান্ড ও জনজাতিদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর।সুযোগ দেওয়া হবে উদীয়মান শিল্পীদেরও।কবি সম্মেলন,ক্যুইজ,আকশ্মিক বক্তৃতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এসব তো থাকছেই।মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আগরতলা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এবারের বইমেলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।
তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস জানান, মেলায় মোট ১৬২টি স্টল থাকছে।এর মধ্যে রাজ্যের ৯৬টি বহিঃরাজ্যের ৬৬টি ও বাংলাদেশ থেকে থাকছে একটি স্টল।কোভিড বিধি মেনে মেলায় স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে।মাস্ক ব্যবহারের জন্যও আহ্বান জানানো হয়।এবছর মেলা দু'দিন বাড়িয়ে ১৪দিন করা হয়েছে।২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মেলা চলবে ১১ মার্চ পর্যন্ত।বাংলাদেশের বিখ্যাত বাউল শিল্পী শ্যামসুল হক,কলকাতার বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচি,বিখ্যাত সন্তুর বাদক পন্ডিত তরুণ ভট্টাচার্য এর মতো ব্যক্তিত্বরা এবারের মেলায় তাদের টিম নিয়ে আসছেন।গত বছরের মতো এবছরও বই প্রেমীদের জন্য বিনামূল্যে বাস পরিষেবা দেওয়া হবে।রাধানগর,চন্দ্রপুর, মোটরস্ট্যান্ড ও রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে মোট ১০টি বাস চলাচল করবে।সব ক'টি বাসই বটতলা নাগেরজলা হয়ে মেলা প্রাঙ্গনে যাবে।প্রতিদিন বেলা ১'৩০ মিনিট থেকে রাত ৯'৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়।এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে মিডিয়া সাব কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় পাল ও সাংস্কৃতিক বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সুব্রত চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।শ্রী চক্রবর্তী বলেন, বইমেলা হচ্ছে কৃষ্টি-মনন, সাংস্কৃতিক আদান প্রদান ও মেধার অন্বেষণের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র। তিনি সকল স্তরের মানুষকে বইমেলায় উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২১