ভারতবর্ষের বুকে যুগে যুগে জন্ম নিয়েছিল মহান পুরুষেরা। স্মরণে বরণে যাঁরা আজও জ্বলজ্বল আমাদের অনুভবে ধ্রুব তারার মত।তাঁদের মধ্যে বীরসিংহের সিংহশিশু, বিদ্যাসাগর চিরস্মরণীয়। ঊনবিংশ শতক বাংলা তথা ভারতের উজ্জ্বলতম শতক। এই শতকে ঘটেছিল জ্যোতিষ্করাজির মহামিলন। এই শতকে জ্ঞানের আলোর বর্তিকাকে প্রজ্জ্বলিত ও দীপ্ত করে রাখার জন্য যিনি তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তিনি হলেন আমাদের জাতীয় জীবনের অন্যতম প্রধান জ্যোতিষ্ক, বাঙালি জীবনের অনুপ্রেরণাদায়ক পন্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর। শিক্ষা বিস্তারে, সমাজসেবা, সমাজ সংস্কার ও দৃঢ়চরিত্র অমিতবল পৌরুষ, ত্যজদীপ্ততা ইত্যাদির জন্য বাঙালি তথা ভারতবাসীর হৃদয়ে চিরবরনীয় হয়ে আছেন তিনি। বিদ্যাসাগরকে নিয়ে লিখতে বসা মানে আমার বোকামি ছাড়া কিছুই না। বিদ্যাসাগর এক বিশাল মহীরুহ, সাগরের সীমাহীন দিগন্তের মত তার জ্ঞান,প্রজ্ঞা । কোথা থেকে শুরু আর কোথা শেষ... আমার জানা নেই। দীনের বন্ধু, করুণাময় বিদ্যাসাগর সম্পর্কে শুধু কবির ভাষায় বলতে পারি,
" এই বঙ্গের সমতলে
তৃণলতা গুল্মদলে
বজ্রজয়ী তুমি বনস্পতি। "
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের শৈশব থেকেই ছিলেন দুর্দমনীয় তেজস্বী ও অনমনীয় জেদি।অভাব-অনটন তাঁর জীবনে কঠোর অধ্যবসায়ের পথে অন্তরায় হয়ে উঠে নি। বরং দুঃখ কষ্ট ও অমানুষিক পরিশ্রম তাঁকে সত্যিকারের জ্ঞানের পূজারী ও মানুষের অতি প্রিয় করে তুলেছিলো। বিদ্যাসাগর যে সময়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সেই সময় দারিদ্রই ছিল নিত্যকার সঙ্গী। সমাজে বৈষম্যর সীমা ছিলনা -ধনী-দরিদ্র ব্রাহ্মণ - উচ্চবর্ণ -নিম্নবর্ণ,পুরুষ-নারী এসবই ছিল সমাজের জ্বলন্ত সমস্যা। নারীদের জীবন ছিল দুঃসহ কষ্ট যন্ত্রণায় ভরা। বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ, বালবৈধব্য, অশিক্ষা, জীর্ন কুসংস্কারের প্রাধান্য মেয়েদের জীবনকে অভিশাপগ্রস্ত করে তুলেছিল।
বিদ্যাসাগর ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুর জেলায় বীরসিংহ গ্রামে এক দরিদ্র রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তী জীবনে তিনি পিতার নিকট হতে পেয়েছিলেন দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার মানসিকতা, মায়ের কাছ থেকে পেয়েছিলেন সংস্কারমুক্ত মানসিকতা। এককথায় পিতা ও মাতার কাছ থেকে মস্তিষ্ক ও হৃদয়ের সমস্ত গুনগুলি উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি পেয়েছিলেন। দারিদ্র্যের মধ্যে কেটেছে ঈশ্বরচন্দ্রের বাল্যকাল। কিন্তু দারিদ্র্য তাকে দীন করিনি, করেছে মহান। দুঃখ-বেদনা -অভাব দিয়েছে তাঁকে সহনশীলতা, সংগ্রামস্পৃহা আর দুর্দমনীয় প্রাণশক্তি। ছোটবেলা থেকেই বিদ্যাসাগর অসাধারণ মেধাসম্পন্ন ছিলেন।
গ্রামের পাঠশালায় পড়া শেষ করে তিনি মাত্র নয় বছর বয়সে পিতার সঙ্গে পায়ে হেঁটে কলকাতা আসেন ও সংস্কৃত কলেজ ভর্তি হন।১৮২৯ --১৮৪১ খ্রিস্টাব্দের সংস্কৃত কলেজে তার ছাত্র জীবন কাটে।ছাত্রাবস্থায় বাড়ির কাজ এবং বাজার করা থেকে শুরু করে রান্না করতে করতে প্রবল জেদের সঙ্গে পড়াশোনা করা সবই বিদ্যাসাগর করেছেন। ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে বিভিন্ন শাস্ত্রে তিনি তাঁর অসাধারন পান্ডিত্যর স্বীকৃতিস্বরূপ 'বিদ্যাসাগর' উপাধি লাভ করেন।ইউরোপের সব পন্ডিতই তাঁকে 'বিদ্যাসাগর' নামে উল্লেখ করেছেন।
রবি ঠাকুর বলেছিলেন, "ঈশ্বরচন্দ্রের প্রধান গৌরব, তাঁহার অজেয় পৌরুষ, তাঁহার অক্ষয় মনুষ্যত্ব এবং যতই তাহা অনুভব করিব ততই আমাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ এবং বিধাতার উদ্দেশ্য সফল হইবে এবং বিদ্যাসাগরের চরিত্র বাঙালির জাতীয় -জীবনে চিরদিনের জন্য প্রতিষ্ঠিত হইয়া থাকিবে। "
বিদ্যাসাগরের জীবন নানান গল্পে আর কীর্তিতে ভরা। সবদিক আলোকপ্রাপ্ত করা আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে সম্ভব না, যতটুকু জেনেছি,পড়েছি ততটুকু নিয়ে আলোচনা করব। বিদ্যাসাগর কেবল বিদ্যার সাগরই ছিলেন না, তিনি দয়ার সাগর ও ছিলেন। দয়ায় মায়ায় পরিপূর্ণ ছিলো বিদ্যাসাগরের হৃদয়।তিনি নিজের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেও অন্যের দুঃখ কষ্টে বিচলিত বোধ করতেন, কাতর হয়ে উঠতেন। কোন প্রার্থী তার কাছে হাত পেতে বিমুখ হয়নি। মায়ের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে দরিদ্র গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে কম্বল বিতরণ করেছেন। কাউকে রোগে শোকে, অসহায় দেখলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। কুষ্ঠ রোগীকেও ঘরে এনে পরম যত্নে সেবাশুশ্রূষা করতেন। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তকে ঋণগ্রস্ততা থেকে মুক্ত করতে বার বার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।বিদ্যাসাগরের সাহায্যেই লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি পড়ে এসেছিলেন। পরে মধুসূদন দত্ত পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে বিদ্যাসাগরের ঋণ পরিশোধ করেছিলেন ।
বিদ্যাসাগরের চরিত্রের এই হৃদয়শীলতার ভূমিকা তাঁর ছাত্রজীবনেই দেখা গিয়েছিল। নিজে দরিদ্র ছিলেন বটে, সাংসারিক কাজকর্ম সবই বিদ্যাসাগর নিজের হাতে করতেন, তবুও সেই বয়সেই বিদ্যাসাগর অন্যকে সাহায্য করা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন নি। বিদ্যালয়ে ছুটির সময়ে যখন জল খাবার খেতে যেতেন, তখন তাঁর চারপাশে যেসব ছাত্রবন্ধু উপস্থিত থাকত, তিনি তাদের তার প্রাপ্ত মাসিক বৃত্তির টাকা থেকে তাদের মিষ্টি খাওয়াতেন। নিজের কাছে টাকা না থাকলে দারোয়ানের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে দরিদ্র বন্ধুদের খাওয়াতেন। এছাড়া কোন ছাত্রের বস্ত্রের অভাব বা ছিন্নবসন দেখলে তাকে নতুন বস্ত্র কিনে দিতেন। পুজোর ছুটিতে দেশে গিয়ে গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করতেন। এমনকি নিজে গামছা পড়ে নিজের পরনের ধুতিটা দিয়ে দিতেন। কারো দুঃখের কথা শুনলেই তিনি হাউমাউ করে কেঁদে উঠতেন। বিদ্যাসাগরের জীবনের অসংখ্য সমাজসেবা, দয়ায় মায়ায় ভরা গল্পের কথা এখানে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। তবে কিছু কিছু ঘটনা এখানে উল্লেখ করছি। বিদ্যাসাগর বীরসিংহ গ্রামের দরিদ্র ছাত্রদের পড়ার সুবিধার্থে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেখানে বিনা বেতনে পড়ার ব্যবস্থা সহ দরিদ্র ছাত্রদের খাবারের ব্যবস্থাও করেছিলেন। দরিদ্র ছাত্রদের শুধু একমুঠো খাবার দানের মধ্য দিয়ে তাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য দুপুরের খাবারেরও ব্যবস্থা করেছিলেন। আজ যে বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা দেখি তা কিন্তু অনেক আগেই প্রায় একশো সত্তর বৎসর আগে বিদ্যাসাগর তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে করেছিলেন। আত্মীয়- অনাত্মীয় বহু ছাত্রকে গ্রামের বাড়িতে ও কলকাতার নিজ আশ্রয়ে রেখে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। দরিদ্র,অনাহারীরা যেন ক্ষুধার জ্বালায় মৃত্যুবরণ না করে তার জন্য তিনি নিজের বাড়িতে অন্নসত্রের ব্যবস্থা করেছিলেন। যেখানে বীরসিংহ গ্রাম ছাড়াও ক্ষুধার্ত অনাহারক্লিষ্ট মানুষেরা খাবারের আশায় ছুটে আসতো।
১৮৬৭ সালে অনাবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট ভয়ানক দুর্ভিক্ষে চারদিকে খাদ্যের জন্য হাহাকার দেখে , বিদ্যাসাগর অস্থির হয়ে উঠেন। তখন ছোটলাট ও বন্ধু বীডন সাহেবের সহায়তায় দুর্ভিক্ষ কবলিত এলাকায় অন্নসত্র খুলে দেন। বিদ্যাসাগর নিজের উদ্যোগে বীরসিংহ গ্রামে যে অন্নসত্র খুলেছিলেন তাতে কোন জাতিভেদ ছিলো না।উচু-নিচু জাত ছোঁয়াছুয়ি এসব তিনি মানতেন না। অন্নসত্রে আসা হাঁড়ি- মুচি -ডোমের ঘরের মেয়েদের মাথায় তিনি নিজে তৈল মাখিয়ে দিতেন ।বিদ্যাসাগরের এইসব নিচু জাতের মেয়েদের মাথায় তৈল মাখিয়ে দেওয়া দেখে গভীর শ্রদ্ধায় রবি ঠাকুর লিখেছিলেন, "মা যেন মেয়েদের মাথায় তৈল মাখিয়ে দিচ্ছেন।....তাঁহার দয়ার মধ্য হইতে যে একটি নিঃসঙ্কোচ বলিষ্ঠ মনুষ্যত্ব পরিস্ফুট হইয়া ওঠে, তাহা দেখিয়া আমাদের নিচুজাতির প্রতি চির অভ্যস্ত মন ও আপন নিগুঢ় মানবধর্ম.... ভক্তিতে আকৃষ্ট না হইয়া থাকিতে পারে না। "
দুর্ভিক্ষের পরপর কলেরা দেখা দিলে বিদ্যাসাগর নিজ গ্রামে চিকিৎসালয় স্থাপন করেন। অল্প খরচে, দরিদ্র গরিব মানুষদের চিকিৎসার জন্য নিজে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাবিদ্যা আয়ত্ত করেছিলেন। দুর্ভিক্ষের ফলে অনেক অনাথ ছেলে মেয়েদেরও দায়িত্ব নিয়েছিলেন বিদ্যাসাগর। বিদ্যাসাগর তখন বলেছিলেন, "চোখের সামনে মানুষ অনাহারে মরবে, ব্যাধি, জরা, মহামারীতে উজাড় হয়ে যাবে, আর দেশের মানুষ চোখ বুজে 'ভগবান' 'ভগবান' করবে, এমন ভগবত প্রেম আমার নেই, আমার ভগবান আছেন মাটির পৃথিবীতে। স্বর্গ চাই না, মোক্ষ চাইনা, বারে বারে ফিরে আসি এই মর্ত্য বাংলায়।"
কত লোককে যে বিদ্যাসাগর সাহায্য করেছেন তার ইয়াত্তা নেই। অনেকের দুরবস্থা দেখে বিদ্যাসাগর নিজে ঋণ নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁদের অনেকেই ঋণ নিয়ে ফেরত দেননি, তবুও বিদ্যাসাগর তাদের বিপদে বারবার ছুটে গিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এমন অনেকে মদ গাঁজা খাবার জন্য মিথ্যা কথা বলে বিদ্যাসাগরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যেতো আবার অনেকে বিপদে পড়ে সাহায্য নিয়ে বিপদ শেষ হলে ফিরিয়ে দিতেও ভুলে যেতো।
এমন একবার মিথ্যা কথা বলে সাহায্য নিয়ে একজন ধরা পড়ে গেলে বিদ্যাসাগরের সহকারীরা তাঁকে বলেন, "আপনাকে ভালো মানুষ পেয়ে অনেকেই এ ভাবে ঠকায়।" এর উত্তরে বিদ্যাসাগর বলেন, "পরের সাহায্য করতে গেলে মাঝে মধ্যে ঠকতে হয়। ঠকানোর চেয়ে ঠকা ভালো।" শুধু কি দীনদুঃখীর দুঃখে তিনি কাতর হতেন, তাঁর হৃদয় পশু পাখীর দুঃখেও কাতর ছিলো। বাছুরেরা মায়ের দুধ পায় না, বলে বিদ্যাসাগর নিজে অনেক বছর দুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ঘোড়া নিজের কষ্ট বলতে পারে না বলে ঘোড়ায় চড়িতেন না। রাত দিন গ্রামেগঞ্জে মানুষের সেবায় ছুটে যেতেন।
মাও সে তুং বলেছিলেন, "একটা দুটো ভালো কাজ করা তেমন কঠিন নয়, সারা জীবন ধরে ভালো কাজ করা যাওয়াটা যথার্থই দূরুহ! অথচ বিদ্যাসাগর এমন একজন ব্যক্তি যিনি সারা জীবন শুধু পরের জন্যই করে গেলেন।" আমরা স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য ঋণ করে ঘি খাওয়ার কথা শাস্ত্রে শুনেছি, কিন্তু ঋণ করে দান করার মাঝে যে মহত্ব তা একমাত্র ভারতবর্ষের বুকে একজন মহাপুরুষই করেছিলেন, তিনি বিদ্যাসাগর। বিদ্যাসাগরের সহায়তায় সেইসময় উপকৃত হন নি এমন মানুষ, এমন স্কুল খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মেয়েদের অকাল বৈধব্যদশা দেখে তাঁর হৃদয় কেঁপে উঠেছিল, তিনি রামমোহন, বেথুন সাহেবের সহায়তায় নারীদের শিক্ষাঙ্গনে নিয়ে এসেছিলেন, বিধবাবিবাহের প্রবর্তন করেছিলেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত তো বিদ্যাসাগরের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতার প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন বারবার তার কবিতার মধ্য দিয়ে। যার ঋণ বাঙালী কোনদিনই দিতে পারবে না,কিন্তু সেই পুরোধাপুরুষ,
নব জাগরণের দীপ্ত শিখার উপর যখন সভ্য সমাজ আঘাত করে তখন অসহায়ের মত আমরা ও কিছু ই করতে পারি না।যেমন ভাবে আমরা চুপ ছিলাম যখন এই মহামানবের মূর্তি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছিল কিছু দুষ্কৃতকারী। আজও যখন আমাদের প্রজন্মরা বাংলা ভাষা কে তাচ্ছিল্য করে বিদেশী ভাষাতে মেতে থাকে আমরা কিছুই করতে পারি না। তবে এটা ও সত্য বিদ্যাসাগর আমাদের সাধনার উৎস, আমাদের প্রেরণা। আজ এত বছর পরেও বিদ্যাসাগর সমানভাবেই প্রাসঙ্গিক।
সুস্মিতা এস দেবনাথ
আগরতলা
২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২১
মানবদরদি বিদ্যাসাগর -- খুব ভালো লাগলো। মানবজীবনে বিদ্যাসাগর আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
উত্তরমুছুনসুন্দর উপস্থাপনা।