মার্চের প্রথম সপ্তাহ অতিক্রান্ত। ত্রিপুরায় রাজ্যসভার একমাত্র আসনের নির্বাচনে এখনো বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। এদিকে বর্তমান রাজ্যসভার সাংসদ ঝর্ণা দাশ বৈদ্যের সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২ এপ্রিল। তাই চলতি মাসের মধ্যেই নির্বাচন করাতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। শাসক এবং বিরোধী দলের মধ্যেও কোন তৎপরতা নেই।১০ মার্চ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফল ঘোষণা। রাজনৈতিক মহলের অভিমত এরপরই রাজ্যসভার নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় ৬০ বিধানসভা আসনের রাজ্যসভার আসন একটি। বর্তমানে বিজেপি দলের বিধায়ক রয়েছেন ৩৩ জন। সিপিএম বিধায়ক রয়েছেন ১৫ জন। যেহেতু একটিই, তাই প্রথম পছন্দ, দ্বিতীয় পছন্দের ব্যাপার নেই। শাসক দলের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। শাসক দলের নেতৃত্বরা এখন ৮ মার্চ অমিত শাহের আগমনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। তাছাড়া ১০ মার্চ ৫ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছেন তাঁরা। তাই এখনই কাকে প্রার্থী করা হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে দলীয় সূত্রে খবর। এদিকে সিপিএমের পক্ষ থেকেও প্রার্থী দেওয়া হতে পারে। বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ, সেটা জানান দিতেই সিপিএম প্রার্থী দিতে পারে। গত রাজ্যসভার নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেও কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছিল। কংগ্রেস প্রার্থী জ্যোতির্ময় নাথ দশটি ভোট পেয়েছিলেন। তার আগের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তাপস দে। তিনিও মতিলাল সরকারের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। রাজ্যসভার আসনে জয়-পরাজয়ের বিষয়টি নির্ভর করে বিধানসভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য সংখ্যার উপর। বর্তমানে শাসক দল বিজেপি এখন কাকে রাজ্যসভায় পাঠায় সেটাই দেখার বিষয়।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
৬ই মার্চ ২০২২