ভারত-বাংলাদেশ বিনিয়োগ- বাণিজ্যের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: টিপু মুনশি
আরশি কথাএপ্রিল ২০, ২০২২
0
আবু আলী
ঢাকা, আরশিকথা ॥
পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সাথে বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অভিন্নতার রয়েছে। বাংলা প্রাগ্রসর চিন্তা-চেতনার ধারক হিসেবে একসময় সমগ্র ভারত বর্ষের সমীহের স্থলে অভিষিক্ত ছিলো। বর্তমান বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ এ গৌরবের উত্তরাধিকার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে অগ্রসর হচ্ছে এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে।
বুধবার কোলকাতার ব্যাঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন। পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর শ্রী জগদ্বীপ ধংকর এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উপস্থিত ছিলেন।
টিপু মুনশি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের পরিমান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীগণ ভারতে বিশেষত: পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগে আগ্রহী। সাম্প্রতিককালে সরকার বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীগণ কর্তৃক বিদেশে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করেছে। ফলে বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীগণ আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকাসহ এশিয়ার দেশগুলোতে বিনিয়োগ করতে পারছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহ রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় চল্লিশটি দেশ হতে সরকারি ও বিজনেস ডেলিগেট দুইদিন ব্যাপী এ গ্লোবাল বিজিনেস সামিটে অংশ গ্রহন করছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাংলাদেশের দশ সদস্যের সরকারি প্রতিনিধিদল এবং বিশ সদস্যের বিজিনেস ডেলিগেশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। করোনাকালে সাত দশমিক এক জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনকে তিনি সাধুবাদ জানাচ্ছি।
এর আগে গতকাল বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাথে সাক্ষাত করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্ভাবনা সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং এক ণৈশভোজে অংশ নেন।
কোভিডোত্তরকালে ২০-২১ এপ্রিল, ২০২২ এ পশ্চিমবঙ্গে আয়োজিত এ গ্লোবাল বিজনেস সামিট বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এ বিজনেস সামিটে পার্টনার কান্ট্রি। এ সন্মেলনে টাটা , আদানি, উইপ্রো, হিন্দুস্তান ইউনিলিভারসহ ভারতের উল্লেখযোগ্য প্রায় সকল বৃহৎ বিজনেস প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করছে। বিটুবি এবং বিটুজি অংশীদারিত্ব ও বিনিয়োগের পথে এটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ আশাবাদী।