Type Here to Get Search Results !

যাত্রী সেবার মাধ্যমে দেশ-বিদেশে ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে শ্যামলী পরিবহন

আবু আলী

ঢাকা, আরশিকথা ॥

‘যাত্রী সেবাই প্রধান লক্ষ্য। একটি গাড়ি গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের যতটুকু সেবা দেওয়া দরকার সবটুকু দেওয়া হয়। যাত্রীই আমার কাছে অমূল্য সম্পদ। সেবা দিয়ে আমি তৃপ্তি পাই।’  যাত্রী সেবার মাধ্যমে দেশ-বিদেশে ব্র্যান্ডে পরিনত হয়েছে শ্যামলী পরিবহন। আরশিকথার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে ‘শ্যামলী যাত্রী পরিবহন সংস্থা’র কর্নধার অবনী কুমার ঘোষ এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও চলে তিল তিল করে গড়ে তোলা শ্যামলী পরিবহনের বাস। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার সর্বত্র চলে শ্যামলী পরিবহনের বাস। অর্থাৎ টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া শ্যামলীর সেবা আছে সর্বত্রই।

আন্তর্জাতিক রুটের মধ্যে ঢাকা-কলকাতা, আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা, ঢাকা-শিলং- গৌহাটি-ঢাকা, ঢাকা-বুড়িমারি-শিলিগুড়ি, চট্টগ্রাম-ঢাকা-কলকাতায় (ট্রানজিট) চলছে শ্যামলীর বাস।

তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিক, আন্তঃরাজ্য এবং আন্তঃদেশিয় ২৫ গাড়ি চলে। যাত্রী সেবাই আমার ধর্ম। তিনি বলেন, ‘ফর দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল’ জনসেবাই আমার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের পর জ¦ালানি তেলের মূল্য বাড়লেও ভাড়া বাড়ানো হয়নি। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করি। বিশেষ করে মঠ, মন্দির, গির্জ্জঅ এবং মসজিদে আমার বড় ধরণের অবদান রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে কলকাতা-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দুই বছর তিন মাস আগে। দীর্ঘ বন্ধের পর ১০ জুন কলকাতা-ঢাকা-কলকাতা ও কলকাতা-ঢাকা-আগরতলার মধ্যে যাত্রীবাহী বাস চলচল শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কলকাতা থেকে ঢাকায় যেতে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময় কম লাগছে। আগে ১৪ থেকে ১৫ ঘন্টা সময় লাগত। এখন ৮ থেকে ৯ ঘন্টায় কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসা যায়। অর্থাৎ সকালে কলকাতায় নাস্তা দুপুরে ঢাকায় লাঞ্চ। সময়ের পাশাপাশি তেল ও খরচ কমার পাশাপশি যানবাহনের লংজারভিটি বাড়ছে।

তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালের ১৯ জুন কলকাতা-ঢাকার মধ্যে প্রথম শুরু হয়েছিল যাত্রীবাহী বাস চলাচল। আর আগরতলা-কলকাতার মধ্যে বাস চলাচল শুরু হয় ৬ জুন ২০১৫ থেকে, ওইদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেবার উদ্বোধন করেন।


 
অবনী কুমার ঘোষ ১৯৬৪ সালের ১৪ মার্চ বাংলাদেশের পাবনা জেলার সুজানগর থানার সাদুল্লাহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পাবনা জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৯ সালে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস করেন। এরপর পাবনা অ্যাডওয়ার্ড বিশ^বিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি পাবনা পলেটেকনিক্যাল থেকে  ইলেকটিক্যাল এন্ড ইলেকটনিক্স নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। এরপর ১৯৯০ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ীমোহনপুর গ্রামের বিউটি ঘোষের সাথে পরিনয় ঘটে। বিবাহের পর তিনি পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ীভাবে চলে যান। সেখানেই গড়ে তোলেন ট্রান্সপোর্ট সংস্থা। ১৯৯৪ সালে তার প্রথম সন্তান শ্রী অভিষেকের জন্ম হয়। অভিষেক কলকাতা বিশ^বিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষে এমএনসি কোম্পানিতে কর্মরত। ১৯৯৬ সালে কন্যা  অন্ন্য পূণ্য ঘোষ জন্ম নেয়। তিনিও কলকাতা বিশ^বিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স শেষ করে ইউপিএসের জন্য চেষ্টা করছে।


আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ

২৯শে জুন ২০২২

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.