ত্রিপুরাতে থাকব আর বাঁশ খাবো না তা কি হয়! না আমি ভুল করে লিখি নি সত্যি সত্যি বাঁশ খাওয়ার কথাই বলছি। আসুন তবে আরো একটু জানি।
বাঁশের অঙ্কুর বা বাঁশ কোরক বা বাঁশের লাঠি বা চলতি ভাষায় আমরা বাঁশ করুল হিসেবেও চিনি। এটি একটি হাই প্রোটিন সমৃদ্ধ, লো ফ্যাট ভিটামিন যুক্ত সবজি যা ওজন কমানোর জন্য ও হজমের সমস্যায় খুবই উপকারী।
সাধারনত শুকনো মাছের সাথে গোদক হিসেবে এর প্রচলন টা বেশি। তবে আজ এই কচি বাঁশ কোরক দিয়ে একটু অন্যরকম একটি নিরামিষ রেসিপি নিয়ে চলে এসেছি। নামনও একদম আলাদা দিলাম ।
উপকরণঃ
কচি বাঁশ কোরক ৫০০গ্রাম
আলু ২টা
পাঁচফোড়ন ১/২চামচ
পনির ২০০ গ্রাম
কাঁচা লঙ্কা ২/৩টে
শুকনো লঙ্কা ২টা
তেজপাতা ১টি
আদা বাটা ২/৩চামচ
গুড়ো মশলা ৩চামচ
নুন স্বাদ অনুযায়ী
হলুদ গুঁড়ো ১.৫ চামচ
গরম মশলা বাটা ১চামচ
পোস্ত বাটা ৩/৪ চামচ
সাদা তেল ১কাপ
ঘি ১চামচ
টমেটো ১টি
প্রনালীঃ
প্রথমেই কচি বাঁশ কোরক গুলো গোল গোল করে কেটে ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে।এবারে পনির গুলো হলুদ নুন মাখিয়ে লাল করে ভেজে তুলে রাখব।
কড়াইতে তেল গরম হয়ে গেলে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ও পাঁচ ফোড়ন দিয়ে দেব। দিয়ে দেব কেটে রাখা টমেটো ।
এবারে দিয়ে দেব সুসিদ্ধ করে রাখা বাঁশ কোরক গুলো। হলুদ নুন দিয়ে ভালো করে নেড়ে চেড়ে দেব।
এখন ভেজে রাখা আলু গুলো দিয়ে দেব।
এবারে দিয়ে দেব আদাবাটা ও গুঁড়ো মশলা এব্ং ভালো করে কষিয়ে নেব।
পোস্ত বাটা টা মিশিয়ে আরো একটু কষিয়ে নেব আর কাঁচা লঙ্কা গুলো দিয়ে দেব।
মিশিয়ে নেব ভেজে রাখা পনির গুলো।
ভালো ভাবে কষানো হয়ে গেলে দিয়ে দেব হালকা গরম জল। এবারে কিছুক্ষন ঢাকা দিয়ে রেখে দেব।
ঢাকনা খুলে যার যতটুকু ঝোল পছন্দ রেখে, গরম মশলা ও ঘি দিয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরী আমাদের বাঁশ পনির এর গালাগাল।
সপ্তর্ষি লস্কর, আগরতলা
আরশিকথা মুন্সিয়ানা কিচেন
১১ই সেপ্টেম্বর ২০২২