Type Here to Get Search Results !

বিশ্বের দরবারে সনাতন ধর্মের পরম্পরা তুলে ধরেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,আরশিকথাঃ


স্বামী বিবেকানন্দ হলেন শান্তির প্রতীক। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে স্বামী বিবেকানন্দকে অবশ্যই জানতে হবে। স্বামী বিবেকানন্দই বিশ্বের দরবারে সনাতন ধর্মের পরম্পরা ও গৌরব তুলে ধরেছিলেন। রবিবার উদয়পুর রমেশ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিচিত্র হলে আয়োজিত রক্তদান শিবির ও শিকাগো বক্তৃতা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ আমেরিকার শিকাগো শহরে আয়োজিত বিশ্বধর্ম সম্মেলনে যে বক্তৃতা রেখেছেন তা আজও প্রাসঙ্গিক। সনাতন ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন। এছাড়া তিনি বলেন ছাত্র জীবন হল জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। এই সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য তিনি ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। রাজ্যের শিক্ষা জগতে রমেশ স্কুলের অবদান অনস্বীকার্য। এই স্কুল থেকে বহু ছাত্রছাত্রী পাস করে জাতীয়, আন্তর্জাতিক স্তরে সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। এক সময় আগরতলা থেকেও অনেক ছাত্রছাত্রী এই স্কুলে এসে পড়াশোনা করত। তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের আশ্বস্ত করেন আগামী দিনে এই বিদ্যালয়ে আধুনিক শিক্ষা পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক ন্যায় ও মহিলা ক্ষমতায়ণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন, বিশ্বের দরবারে ভারতবর্ষের নাম তুলে ধরেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনিই সনাতন ধর্মকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছেন। সনাতন ধর্মকে জানতে হলে স্বামী বিবেকানন্দকে অবশ্যই জানতে হবে। বিশ্বের প্রায় ১৫৭টি দেশে স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার প্রচার হয়। তিনি বলেন, রাষ্ট্র নির্মাণের কারিগর তৈরী করতে রমেশ স্কুলের অবদান অনস্বীকার্য।

রাজ্য এবং দেশের বাইরে রমেশ স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিবেকানন্দের দর্শন ও চিন্তা ধারাকে পাথেয় করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে চলেছেন। বিবেকানন্দের দর্শনই ভারত নির্মাণের মূল কারিগর। বিবেকানন্দের দর্শনকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ণ করলেই আত্মনির্ভর ভারত গড়ে উঠবে। তিনি রমেশ স্কুলকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য প্রাক্তনীদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আগরতলা বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশনের ভাইস প্রিন্সিপাল বুদ্ধিরূপানন্দ মহারাজ স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ ও জীবন দর্শনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি স্বপন অধিকারী, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পরিমল চক্রবর্তী, গোমতী জেলার জেলাশাসক গভেকার ময়ূর রতিলাল, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সম্পাদক বিশ্বেশ্বর মজুমদার ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী সহ বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ বিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্রী অঙ্কিতা সেনগুপ্তর হাতে মানপত্র তুলে দেন। তাছাড়া অতিথিরা নয়টি বিভাগের স্কলারশিপ ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেন। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয় রক্তদান শিবির, প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।


আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ


ছবিঃ সংগৃহীত

১১ই সেপ্টেম্বর ২০২২
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.