রাজ্যে ৩১ অক্টোবর থেকে নজরুল কলাক্ষেত্রে বহু প্রতিক্ষিত সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউশনের যাত্রা শুরু হবে। ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে পড়াশুনা। প্রাথমিকভাবে ৪টি বিষয় নিয়ে এই ইনস্টিটিউশনে কোর্স করানো হবে। এতে ভর্তির জন্য বিজ্ঞাপন আগামী ২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে। শুক্রবার সচিবালয়ের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই সংবাদ জানান তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
সাংবাদিক সন্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউশনে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ অক্টোবর। ২১ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদনপত্রের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পাশাপাশি ভর্তির প্রক্রিয়া চলবে। যে চারটি বিষয়ের উপর প্রাথমিকভাবে কোর্স করানো হবে সেগুলি হল, ৪ সপ্তাহের জন্য ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন, প্রোডাকশান ম্যানেজমেন্ট অন সিনেমা এন্ড টেলিভিশন এবং ৮ সপ্তাহের স্ক্রিন অ্যাকটিং, সাংবাদিকদের জন্য অ্যাঙ্কারিং অ্যান্ড নিউজ রিডিং এর উপর কোর্স। কোর্স শেষে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ এ শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। খুব স্বল্প অর্থের বিনিময়ে এই সকল কোর্স করা যাবে। গত ৫ সেপ্টেম্বর কোলকাতায় সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউশনের সদর কার্যালয়ে রাজ্য সরকার ও এই ইনস্টিটিউশনের আধিকারিকদের নিয়ে এক বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী আরও বলেন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটশন যৌথভাবে রাজ্যে ফিল্ম ইনস্টিটিউশনটি পরিচালনা করবে। নজরুল কলাক্ষেত্রে এই ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউশনের পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যে পূর্ত দপ্তরকে এবং সৌন্দার্যায়নের জন্য আগরতলা পুর নিগম, উদ্যান পালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ইনস্টিটিউশন পরিচালনার জন্য প্রত্যেক বছর ৫ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকাব্যয় করা হবে।তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, বিগত সরকারগুলির কার্যকালে কখনও রাজ্যে এধরণের ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে রাজ্যে এই সকল কোর্স সম্পর্কে আগ্রহের উপর ভিত্তি করে ডিপ্লোমা ও ডিগ্রি কোর্স চালু করা হবে। আমাদের প্রতিবেশি রাজ্য মণিপুর, আসাম, পশ্চিমবঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। রাজ্যেও সদর্থক মনোভাব নিয়ে সরকার সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউশন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামীদিনে একে ভিত্তি করে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে বলেও সাংবাদিক সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেন। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রাজ্যে চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ হলে এখানকার সংস্কৃতি ও পর্যটনকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা সম্ভব হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী ও ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা সন্তোষ দাস।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃসুমিত কুমার সিংহ
৯ই সেপ্টেম্বর ২০২২