বাঘ ও সময়
(নেপালি কবিতা)
কোনো দিক দিয়ে আচমকা বেরিয়ে আসে বাঘ
যে কোনো দিক দিয়ে। যে কোনো জায়গা থেকে।
আচমকা বেরোয় বাঘ
কোনো দন্ত্যগল্প থেকে
কোনো জনশ্রুতি থেকে
কোনো প্রবাদ না থাকলে বাগধারা থেকে
এবং ছোট পাহাড়শৃঙ্গ থেকে দেখে
নীচের নোংরা নগরকে,
নীচের মূক সেজে বসে থাকা গ্রামকে,
উপরের ধূমিল চাঁদকে।
তারপর গর্জে উঠে বাঘটি
মলিন স্বরে
মধ্যম স্বরে
ও উচ্চ স্বরে
তারবার্তা তৈরী হয়।
স্বপ্নে দেখা পাওয়া নগর
কবিতায় উল্লিখিত গ্রাম
ভয়ে শিহরিত হয়।
নিভে যাওয়া বাতির অন্ধকারে
সর্বাঙ্গে ভয় মেখে
ঘুমোনোর নাটক করে বাড়িঘর।
পাঠ্যপুস্তকে লেখা রয়েছে
রক্ত দিয়ে তৃষ্ণা মেটায় বাঘ।
বাঘের বৃত্তচিত্রে
বাঘের
কাচামাংস খাওয়ার
মিনিট দশের দৃশ্য রয়েছে।
বাঘের তীক্ষ্ণ নখর
আর ধারালো করিদন্তের বর্ণনা রয়েছে
বহু দন্ত্যগল্প ও আখ্যানগুলোতে।
আকাশের হয়ত পছন্দ নয়
বাঘের বীরত্বের ব্যাখ্যা
গুড়গুড় আওয়াজ করে।
বজ্রপাতের ব্রহ্মাস্ত্র ফেলে
বাঘকে লক্ষ্য করে।
মুষলধারে বর্ষায় বাঘের
নখরে আটকে থাকা মাংসের টুকরো
মুখে লেগে থাকা টাটকা রক্ত
সবই বয়ে যায়।
তৃপ্ত হয়ে বাঘ
কাল্পনিক জঙ্গলে ঢোকে।
'বাঘের প্রস্হানের পর
উদ্বেগমুক্ত হওয়া বাড়ি
ঘুমোতে যাওয়া গ্রাম
ফের বাতি জ্বালাতে তৎপর নগর
সব কিছুই বয়ে যায়।
যে কোনো দিকে, যে কোনো জায়গায়'
-কাব্যে এমনই বর্ণনা রয়েছে।
(নেপালি কবিতা 'বাঘ র সময়'-এর বঙ্গানুবাদ)
-কবি কেবলচন্দ্র লামা (দার্জিলিঙ)
অনুবাদ: বিলোক শর্মা (ডুয়ার্স, পশ্চিমবঙ্গ)
১৬ই মে ২০২১