জনমত গঠনে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে ক্লাবগুলির। গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে জনকল্যাণে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে জনজাগরণে ভূমিকা নিতে হবে ক্লাবগুলোকে। বুধবার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে ক্লাব ও সামাজিক সংস্থাগুলি। একটা সময়ে রাজ্যের ক্লাব সংস্কৃতি সম্পর্কে বিরূপ ধারণার পরিবর্তন হয়েছে রাজ্যের মানুষের। বর্তমানে ক্লাবগুলির মধ্যে তৈরি হচ্ছে সোহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ। আভ্যন্তরীণ বিশৃংখলার আঁধার কাটিয়ে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা তৈরি হয়েছে। নানা সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকছে রাজ্যের ক্লাবগুলি। এর উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত করোনা পরিস্থিতিতে টিকাকরণসহ অন্যান্য সহায়তামূলক কর্মসূচিতে তাদের অগ্রণী ভূমিকা। সরকারের বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মসূচি ও জনকল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্পে সহায়তা আরো বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে ক্লাবগুলির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন নেশা মুক্ত রাজ্য গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সরকার কাজ করছে তাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সহায়তা করে চলেছে রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাব ও সামাজিক সংস্থাগুলি।
বৈঠকে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক ভি এস যাদব বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা ও পুলিশ প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করবে। ট্রাফিক ও আইন-শৃঙ্খলা সুচারুভাবে পরিচালনা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে মোবাইল পেট্রোলিং, অস্থায়ী পুলিশ বুথ, সিসি ক্যামেরাসহ যেকোন অবাঞ্ছিত ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তার পাশাপাশি দেবী নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে দপ্তর। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম সচিব জে কে সিনহা, ক্লাব ফোরামের যুগ্ম-আহ্বায়ক বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রণব সরকার, চেয়ারম্যান সঞ্জয় পাল ও সভাপতি দীপক মজুমদার।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২১