মেট্রোরেলকে মতিঝিল পর্যন্ত এগিয়ে নিতে ট্রায়াল রান শেষে এবার চলছে প্রথম পর্বের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের সমন্বয়। দুইদিন উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ বন্ধ রেখে চলছে কাজ।
স্বপ্ন যাত্রা এগিয়ে যাচ্ছে আরও এক ধাপ। উত্তরা থেকে আগারগাঁও ছাপিয়ে এবার মেট্রো ছুটবে মতিঝিলে। তবে দ্বিতীয় ধাপের এই কাজ এগিয়ে নিতে ট্রায়াল রান শেষে এবার শুরু হয়েছে সমন্বিত ট্রায়াল রান। অর্থাৎ এতদিন এই পথে আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে বিভিন্ন পর্যায়ে পরীক্ষামূলক চলাচল হলেও এবার উত্তরা থেকে সরাসরি চলবে মতিঝিল। এতে করে প্রথমবারের মতো একই সুতায় গাঁথা হবে পুরো এমআরটি লাইন সিক্স।
এই কর্মযজ্ঞে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সাপ্তাহিক বন্ধের পর আরও দুইদিন মেট্রো চলাচল বন্ধে কিছুটা অসুবিধা হলেও, মতিঝিল যাত্রার কথা ভেবে তা মেনে নিয়েছেন যাত্রীরা।
আগামী ২৯ অক্টোবর নতুন এই পথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন থেকে শুরু হবে বাণিজ্যিক যাত্রা। তাইতো আনন্দ সবখানে।
কর্মীরা বলছেন, ‘ওপরের কাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু যেটা দিয়ে যাত্রী উঠানামা করবে, সেই কাজটা বাকি আছে। এটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। আমাদের মধ্যেও অনেক আনন্দ কাজ করছে।’ প্রাথমিকভাবে তিনটি স্টেশন থেকে তিন ঘণ্টা করে শুরু হবে পথের যাত্র। তিন মাসের মধ্যে সবগুলো স্টেশন চালুর পাশাপাশি ট্রেন চলবে পূর্ণাঙ্গ সময়ে।
বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশের মাধ্যমে বাঙালির স্বপ্নযাত্রার শুরু গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর। তবে স্বপ্নটা প্রথমে স্বল্প পরিসরে ডানা মেললেও কয়েক মাসের মধ্যেই খুলে যায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সবকটি স্টেশন। এবার আগামী ২৯ অক্টোবর মতিঝিল পর্যন্ত দ্বার উন্মোচনের পর পুরোপুরি স্বপ্ন পূরণে বাকি থাকবে শুধু কমলাপুর অংশ। সেটিও ২০২৫ সালের মধ্যে খুলে দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা সরকারের।উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটারের পুরো রুটটি ৪০ মিনিটেরও কম সময়ে ভ্রমণ করে মেট্রোরেল প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৪ জুন এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণ উদ্বোধন করেন।
মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। মূলত মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার বাড়তি অংশ নির্মাণ, প্রতিটি স্টেশনের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন নতুন অনুষঙ্গ যুক্ত হওয়ায় খরচ বেড়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা।
মেট্রোরেল প্রকল্প নেয়া হয় ২০১২ সালে। জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার সঙ্গে ঋণচুক্তি হয় পরের বছর। মূল কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
ছবি ও তথ্যঃ সংগৃহীত
১৪ অক্টোবর ২০২৩